আর্সেনালকে হারিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি

|

ছবি: সংগৃহীত

আবারও ম্যানচেস্টার সিটির কাছেই আটকে গেলো আর্সেনাল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বিগ ম্যাচে জায়ান্ট আর্সেনালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এ ম্যাচে জোড়া ভুলের মাশুল গুনতে হলো গানারদের। দারুণভাবে যা কাজে লাগালো ম্যানচেস্টার সিটি।

ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে শুরু থেকে বেশ আত্মবিশ্বাসী ফুটবলই খেলে আর্সেনাল। বল দখলে রেখে চেষ্টা করতে থাকে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার। ২২তম মিনিটে দারুণ একটা সুযোগও পেয়ে যায় গানাররা। কিন্তু দারুণ পজিশনে বল পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি গানার ফরোয়ার্ড এনকেতিয়া। ম্যানসিটি ঠিক যেন গুছিয়ে উঠতে পারছিল না। তাদের খেলায় ছিল না গতি। তবে প্রতিপক্ষের এক ভুলেই এগিয়ে যায় তারা।

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচের ২৪তম মিনিটে বাঁ দিকের টাচলাইনে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশের চ্যালেঞ্জের মুখে গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে ব্যাকপাস দেওয়ার চেষ্টা করেন আর্সেনাল ডিফেন্ডার তাকেহিরো তোমিইয়াসু। গোলরক্ষক অ্যারন র‌্যামসডেলও অনেকটা এগিয়ে আসেন। কিন্তু তোমিইয়াসুর লক্ষ্যহীন, দুর্বল পাস চলে যায় কেভিন ডে ব্রুইনার পায়ে। প্রতিপক্ষের এমন উপহার পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই বেলজিয়াম তারকা।

এর দুই মিনিট পরই প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ আসে তোমিইয়াসুর সামনে। গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির বাড়ানো বল ফাঁকা জায়গায় পেলে বা পায়ে ভলি নেন তিনি। তবে বল চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। অবশ্য গোল শোধ করতে আর্সেনালকে দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে বল নিয়ে গোলমুখের খুব কাছে চলে যাওয়া এনকেতিয়াকে ম্যানসিটি গোলরক্ষক এডারসন বাধা দিলে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। যা কাজে লাগিয়ে দলকে সমতায় ফেরান বুকায়ো সাকা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আবার এগিয়ে যেতে পারতো সিটি। তবে রদ্রির হেডে বল নাথান আকের পা ছুঁয়ে এক ড্রপে লাগে ক্রসবারে। এ যাত্রায় বেঁচে যায় আর্সেনাল।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে ডি-বক্সে আর্লিং হাল্যান্ডকে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। হলুদ কার্ডও দেখতে হয় এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে। তবে তার আগে হাল্যান্ড অফসাইডে থাকায় ভিএআরে বাতিল হয় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। হাল্যান্ডকে ফাউল করা গ্যাব্রিয়েলের হলুদ কার্ডও প্রত্যাহার করেন রেফারি।

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে রদ্রির হেড কোনোমতে ঠেকান র‌্যামসডেল। জটলার মধ্যে মানুয়েল আকাঞ্জি চেষ্টা করেন, তবে তার শট গোললাইনে প্রতিহত হয়। পরের মিনিটে হাল্যান্ডের শট ঠেকান র‌্যামসডেল। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সিটি। ৭২তম মিনিটে দলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন জ্যাক গ্রিলিশ। এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের শট বরাবরই ছিলেন গোলরক্ষক রামসডেল। তবে তোমিইয়াসুর পায়ে লেগে বল দিক বদলে জালে চলে যায়। এগিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার শীষ্যরা।

ছবি: সংগৃহীত

আর্সেনালের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ হয়ে যায় এর ১০ মিনিট বাদে, হাল্যান্ডের দারুণ এক গোলে। ডি ব্রুইনের পাস বক্সে বাঁ পায়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোলটি করেন নরওয়েজিয়ান তারকা।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর গোলের দেখা পেলেন হাল্যান্ড। প্রিমিয়ার লিগে তার গোল সংখ্যা ২৬টি, এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ। আর মৌসুমে সব মিলিয়ে তার গোল সংখ্যা ৩২টি।

২৩ ম্যাচে ১৬ জয় ও তিন ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট ৫১। ২২ ম্যাচে সমান সংখ্যক জয় ও ড্র আর্সেনালের পয়েন্টও ৫১। তবে, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে ম্যানসিটি।

২৩ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এক ম্যাচ কম খেলা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৪১।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply