ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের মানসিকভাবে চাঙা করতে ক্যাম্পগুলোতে নানা উদ্যোগ

|

ছবি : সংগৃহীত

গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে তুরস্ক-সিরিয়া। যেখানে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার শিশুরা। বাবা-মা, ঘর-বাড়ি হারিয়ে তাদের ঠিকানা এখন বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবির। চোখের সামনে এমন ভয়াবহতা দেখে অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। শিশুদের দুর্বিষহ সেই স্মৃতি ভোলাতে সামাজিক সংগঠনগুলো নিয়েছে নানা উদ্যোগ। ক্যাম্পগুলোতে শিশুদের জন্য খেলাধুলাসহ নানা বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুদেশের শিশুদের অল্প বয়সে এত বড় ধাক্কা, হাজার হাজার শিশুকে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যায় ফেলতে পারে। তাদের সেই দুর্বিষহ স্মৃতি ভোলাতে তুরস্কের উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে খেলাধুলা, ফেস পেন্টিংসহ নানা বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড আয়োজন করা হচ্ছে। দেশটির সরকারি সংস্থা আফাদের উদ্যোগে শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে নেয়া হয়েছে এসব উদ্যোগ।

ভূমিকম্প থেকে বেঁচে ফেরা তেসনিম হোসেইন বলেন, জীবনে আর কখনও এত ভয় পাইনি আমি। যখন সবকিছু দুলছিল আমি খুবই আতঙ্কিত হয়ে পরি। ভূমিকম্পের পর এখানে আশ্রয় নিয়েছি। এখানে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছি। এখন আগের চেয়ে ভালো আছি, এই জায়গা ছাড়তে চাই না আমি।

সমাজকর্মী আহমেদ হাসিম আতালে বলেন, আতঙ্কিতদের মানসিকভাবে সহায়তা করার জন্য আমরা ভূমিকম্পের দু’দিন পর এখানে এসেছি। আমরা সবাই মনোবিদ ও সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করছি। মূলত শিশুদের মানসিক শক্তি জোগাতে কাজ করছি যাতে তারা সেই দুর্বিষহ মুহূর্তগুলো ভুলে যেতে পারে। অন্তত এক বছর আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।

সিরিয়াতেও শিশুদের মানসিকভাবে চাঙা রাখতে উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিদেশি সংস্থাগুলোর সহায়তায় চলছে বিনোদনমূলক কার্যক্রম।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের লেফটেন্যান্ট কর্নেল হামাদ মোহাম্মাদ আল কাবি বলেন, এসব কার্যক্রম সিরিয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা প্যাকেজের অংশ। আমরা উদ্ধারকারী দলেও কাজ করছি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও যারা নিখোঁজ তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ হাজার ভবন। সিরিয়াতেও সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। এই দুর্যোগে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ হারিয়েছেন থাকার জায়গা।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply