ইমামের লেবাসে অপহরণ ও ধর্ষণ, র‍্যাবের ফাঁদে আটক

|

আটককৃত বোরহান উদ্দিন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

বোরহান উদ্দিন পেশায় মসজিদের ইমাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে মসজিদে ইমামের চাকরি করেছেন তিনি। তবে যেখানেই চাকরি করেছেন সেখানেই অভিযুক্ত হয়েছেন অপহরণ ও ধর্ষণের। এসব ঘটনায় বোরহানের নামে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। জেলও খেটেছেন টানা ১১ মাস। সম্প্রতি, এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বোরহান।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) র‍্যাব-৯ এর সদস্যরা হবিগঞ্জ জেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে বোরহানকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় অপহৃত স্কুল ছাত্রীকেও।

এ ব্যাপারে র‍্যাব-৯ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতুলী থেকে এক স্কুল ছাত্রীকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায় বোরহান। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকেই র‍্যাবকে বিষয়টি জানান হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান শুরু করে র‍্যাব। অবশেষে ঘটনার ১০ দিন পর র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন ও ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান আরও জানান, বোরহান উদ্দিনের বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। সে একজন লেবাসধারী ইমাম। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ১০ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ধর্ষণ-অপহরণের অভিযোগে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে,। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ করে সে সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে আবারও অপকর্ম শুরু করেছে।

বোরহান উদ্দিন জানান, সদর উপজেলার আহরন্দে একটি স্কুলে সম্প্রতি অপহরণ করা স্কুল ছাত্রী পড়াশোনা করেন। একসময় ওই এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন বোরহান উদ্দিন। সে সময় থেকে নানান ভাবে ওই স্কুল ছাত্রীকে ফুসলানোর চেষ্টা করে আসছিল। এই ঘটনায় থানায় অপহরণকারী বোরহান উদ্দিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার মামলার আসামি বোরহান উদ্দিনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে র‍্যাব।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply