মায়ের কপালের সিঁদুর মুছে গেছে, হাসিটুকু যেন থাকে আমৃত্যু: চঞ্চল চৌধুরী

|

ছবি: সংগৃহীত

মায়ের কপাল থেকে লাল টকটকে সিঁদুর মুছে গেছে সত্য, তবে হাসিটুকু যেন আমৃত্যু থেকে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, অনেক দিন পর মায়ের মুখে এমন হাসি দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। বাবা চলে যাওয়ার পর আমরা সবাই যখন শোকে ভেঙে পড়ি, উল্টো আমাদের মা ই আমাদের বুকের কাছে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা দেয়। আমি সৃজিত মুখার্জীর ‘পদাতিক’ এর শুটিং এর কারণে মায়ের কাছে বেশীদিন থাকতেও পারিনি। কলকাতা চলে আসতে হয়েছে। মাঝে মাঝে ভিডিও কলে কথা বলি সবার সাথে, মায়ের সাথে। শক্তি আর সান্ত্বনা খুঁজে বেড়াই। কাজ করে চলি। এমনভাবে কাজের ভেতর ডুবে থাকি যে, মাঝে মধ্যে ঘোর কাটে না। মনে হয় দেশে ফিরলেই তো বাবাকে দেখতে পাবো। চোখের কোনায় জল জমে, আবার বাস্তবে ফিরে আসি।

মা খুব সুন্দর করে ভিডিও কলে কথা বলতে পারে, মানে ফ্রেমিং টা খুব সুন্দর হয়। আর বাবা ছিল ঠিক বিপরীত, ফ্রেমিং খুব বাজে। ভিডিও কলে বাবার পুরো চেহারাটা কখনও দেখা হয়নি। কেমন ভাবে যেন ফোনটা মুখের সামনে ধরতো। হয় শুধু কপাল, না হয় শুধু থুতনি দেখা যেত। প্রায়ই তার আঙুল লেগে ভিডিও অফ হয়ে যেত। অনেক রাগ করতাম বাবার ওপর। কেন ভিডিও কল করা ভালোমতো শিখছে না।

তিনি আরও বলেন, শেষের দিকে এসে বাবার শ্রবণ শক্তিও কমে গিয়েছিল। মুখস্ত কিছু কথা বলেই ফোনটা মাকে ধরিয়ে দিতো। বাবার এই টেকনিকটা আমরা ধরে ফেলেছিলাম। এ নিয়ে আমরা ভাই-বোনেরা সবাই হাসাহাসিও করতাম। তবে সত্য এটাই, বাবার ঐ আংশিক থুতনি আর কপালও কোনো দিন দেখা হবে না ভিডিও কলে।

পোস্টের শেষে তিনি বলেন, আমি কলকাতা আর আমার মা ঢাকাতে আমার বাসায়। প্রতিদিনই ভাই-বোন,আত্মীয় স্বজন মাকে দেখতে আসে। আজ সন্ধ্যায় মাকে দেখতে এসেছে খুশী, বৃন্দাবনদা, দিব্য, সৌম্য। মা সবার সাথে গল্পগুজবে, আনন্দে মেতে উঠেছে। মায়েদের মুখের হাসি মনে হয়, সকল সন্তানের অন্তরেই শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply