বাখমুতের শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে চলছে রুশ-ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই

|

কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তুমুল লড়াই চলছে রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে আরও অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সতর্কতা জানিয়ে জেলেনস্কি যদিও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের দাবি, এরইমধ্যে কিয়েভকে যথেষ্ট অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে নতুন করে কিয়েভকে সমরাস্ত্র সরবরাহ ইস্যুতে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশার। খবর রয়টার্সের।

একদিকে ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থানে চলছে রুশ ক্ষেপনাস্ত্র হামলা। অন্যদিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিকে দখলমুক্ত করতে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। এ অবস্থায় সতর্কতা জানিয়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেন্সকি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের লক্ষ্য শুধু ইউক্রেনই নয় বরং ইউরোপের অন্যান্য দেশও। আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র পেলে রুশ আগ্রাসন পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, মিউনিখে আমাদের মিত্রদের বলতে চাই এই মুহূর্তে আমাদের আরও অস্ত্র প্রয়োজন। কারণ বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার পরিধি বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। তাদের ঠেকাতে হলে অস্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে পুতিনের লক্ষ্য শুধু ইউক্রেন নয়।

অপরদিকে জেলেন্সকির অস্ত্র সরবরাহের আহ্বানের প্রেক্ষিতে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তার বিষয়টিকে আমরা সব সময়ই প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে দোদুল্যমানতা ছিলো সেটাও কেটে গেছে। আমার মনে হয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা করেছে জার্মানি-ফ্রান্সহ মিত্র দেশগুলো।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাত করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের হুঁশিয়ারি স্বত্বেও আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানান, সামরিক অভিযানে রাশিয়াকে সব ধরনের সহায়তা করার।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply