প্রতিদিন কোনো না কোনো দিবস আছেই। সেই ধারবাহিকতায় আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাটারি দিবস।
ব্যাটারির জন্মের ইতিহাস অনেক পুরোনো। ১৮০০ সালে ইতালির বিজ্ঞানী আলেসান্দ্রো ভোল্টার আবিষ্কৃত বিদ্যুৎ কোষ, যাকে তিনি বলেছেন ভোল্টাইক পাইল, থেকেই ব্যাটারি ব্যবহারিক রূপ লাভ করে। অবশ্য ব্যাটারি নামকরণ আগেই হয়েছিল। ১৭৪৮ সালে বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রথম ব্যাটারি শব্দটি ব্যবহার করেন।
১৭৪৫ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন আলেসান্দ্রো ভোল্টা। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিবসটি পালিত হয়।
এই দিনে চলুন জেনে নেয়া যাক ফোনের ব্যাটারি যেভাবে ঠিক রাখতে পারেন।
সস্তা চার্জার নয়: বাজারের সস্তা চার্জার থেকে সাবধান। এটি ফোন ব্লাস্টের অন্যতম কারণ। যেই ব্র্যান্ডের ফোন ব্যবহার করবেন ঠিক সেই ব্র্যান্ডের নির্দিষ্ট চার্জার ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় চার্জ অবস্থায় ব্লাস্ট হয়ে যেতে পারে আপনার ফোনটি।
চার্জের নিয়ম: আমরা অনেকেই সারারাত ফোন চার্জে বসিয়ে দিই। এটির ফলে ফোন ওভার হিটিং করে ও ব্যাটারিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফোনকে অনেক বেশি চার্জও করা যাবে না আবার একদম খালিও করে ফেলা যাবে না। নিয়ম মেনে ফোন চার্জ করুন।
অতিরিক্ত গেম খেলা: স্মার্টফোন গরম হওয়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত গেম খেলা। এতে প্রসেসরের ওপর অনেক চাপ পড়ে। এর ফলে ফোন গরম হয়ে ব্যাটারি ফেটে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় গেম খেলার পর কিছুটা সময় স্মার্টফোনকে বিরত রাখুন প্রসেসিং থেকে।
ব্যাটারি তৈরিতে ত্রুটি: ব্যাটারি তৈরিতে ত্রুটি থাকলেও সামান্য ব্যবহারে ফোন গরম হয়ে যায় এবং ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। যদিও এতে ব্যবহারকারীদের কোনো হাত নেই। তবুও ফোন কেনার সময় ব্যাটারির তথ্যগুলো সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
হাত থেকে পড়ে গেলে: হাত থেকে ফোন বারবার পড়ে গেলে ব্যাটারি ফিজিক্যালি কিছুটা ড্যামেজ হয়। এর ফলে শর্টসার্কিট, ওভার হিটিং ইত্যাদি হতে পারে। হাত থেকে ফোন পড়ে যাওয়ার পর ব্যাটারির অসঙ্গতি দেখা দিলে বদলে ফেলুন স্মার্টফোনের ব্যাটারি।
/এনএএস
Leave a reply