জীবিত ফেরার আশা নেই, তুরস্কে চলছে মরদেহের খোঁজ

|

তুরস্কের প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পের ১৩তম দিন আজ। জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা প্রায় শেষ। তাই হালকা যন্ত্রপাতির বদলে ধ্বংসস্তূপ সরাতে বুলডোজারের মতো ভারী যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখন অন্তত মরদেহ কবর দেয়ার অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা। ধর্মীয় রীতিতে প্রিয়জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চান তারা। তাই শরীরের একটি টুকরো হলেও খুঁজে পেতে প্রহর গুনছেন হাজার হাজার স্বজন। তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাতে দিনরাত কাজ করছেন বুলডোজার অপারেটররা। ধ্বংসস্তূপ থেকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মরদেহ। খবর রয়টার্সের।

ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মরদেহ খুঁজতেই এখন বেশি জোর দিচ্ছে তুর্কি সরকার। তাই টনকে টন কংক্রিটের নিচ থেকে মরদেহ খুঁজে বের করতে দিনরাত কাজ করছেন বুলডোজার অপারেটররা। বুলডোজার অপারেটর আকিন বোজকুর্ত বলেন, কয়েক টন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে যখন আমরা কারও মরদেহ খুঁজি, তখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন তা খুঁজে পাই। কেউ কি কখন মরদেহের জন্য প্রার্থনা করে? আমরা করি, আমরা শুধু পরিবারগুলোর কাছে স্বজনের মরদেহ পৌঁছে দিতে চাই। এটি তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে।

মানুষের আর্তনাদ আহাজারি উপেক্ষা করেই কাজ করতে হচ্ছে তাদের। মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনেক হৃদয় বিদারক অভিজ্ঞতার। কেউ কেউ এসে আদরের সন্তান কিংবা বাবা-মায়ের শরীরের অন্তত একটি টুকরো হলেও চান তাদের কাছে।

আকিন বোজকুর্ত বলেন, আমাদের ধর্মে মৃত মানুষকে কবর দেয়ার গুরুত্ব অনেক। কেউ কেউ বলে, আমাকে অন্তত তার শরীরের একটা টুকরো এনে দেন, যাতে আমি তাকে কবর দিতে পারি। যখন পরিবারগুলোর কাছে স্বজনের মরদেহ হস্তান্তর করি তখন তাদের কান্না দেখে কষ্ট পাবো নাকি আমাদের জন্য তারা যে দোয়া করে তা দেখে খুশি হবো তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যাই।

কবরস্থানগুলোতেও অগ্রীম খুড়ে রাখা হয়েছে বিপুল সংখ্যক কবর। তৈরি রাখা হয়েছে কফিন ও কাফনের কাপড়। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও নিখোঁজ বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের মরদেহ খুঁজে পেতে লেগে যেতে পারে কয়েক মাস।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply