দুই গোলের লিড নিয়েও লিলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। কিন্তু যোগ করা সময়ে মিনিট দু’য়েক বাকি থাকতে লিওনেল মেসির দারুণ এক ফ্রি-কিক গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। লিগের ২৪তম রাউন্ডের খেলায় লিলকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করলো পিএসজি।
এর আগে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না পিএসজির। সবশেষ তিন ম্যাচে মার্শেই, মোনাকো আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারের ক্ষতটা দগদগে।
তাই নিজেদের মাঠে এদিন শুরু থেকেই দাপট ধরে রাখার চেষ্টা মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের। যেখানে নেইমারের সাথে দারুণ এক বোঝাপড়ায় দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। ২য় গোলের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ১৭ মিনিটে ভিতিনহার বাড়ানো বলে এবার স্কোর শিটে নাম তোলেন প্রথম গোলের রূপকার নেইমার।
প্রথমার্ধেই অবশ্য এক গোল শোধ করে লিল। ২৪ মিনিটে আন্দ্রে গোমেজের এসিস্ট থেকে ডুন্নারুম্মাকে ফাঁকি দেন বাফেডো ডিয়াকাট। ২-১ গোলের স্কোর লাইন নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের পর থেকে পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। ৫১ মিনিটে পায়ে আঘাত পেয়ে নেইমার মাঠ ছাড়লে আক্রমণে নিজেদের ধার কিছুটা কমে পিএসজির। সেই সাথে পেনাল্টিও পায় লিল। ৫৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরাতে ভুল করেননি জোনাথন ক্রিশ্চিয়ান ডেভিড।
আর ৬৯ মিনিটে আন্দ্রে গোমেজের এসিস্ট থেকে জোনাথন বামবার গোলে ৩-২ গোলে লিল এগিয়ে গেলে হারের শঙ্কার মুখে পড়ে পিএসজি।
হার এড়াতে আক্রমণের ধার বাড়ায় পিএসজি। শেষ পর্যন্ত আবারও দলের ত্রাতা হয়ে আসেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। বের্নাতের সাথে বোঝা পড়ায় নিজের ২য় গোল করে ৩-৩’এ সমতা ফেরান ম্যাচে।
এরপরই অপেক্ষা করছিল আসল নাটক। পাল্টা আক্রমণ থেকে লিলের রক্ষণে ঢোকার চেষ্টা করেন হুগো একিটিকে। কিন্তু বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হলে ফ্রি-কিক পায় পিএসজি। ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে সেই ফ্রি-কিক থেকে সবাইকে বোকা বানান লিওনেল মেসি। যা একই সাথে লিগে এক ম্যাচ পর জয়ের ধারায় ফিরিয়ে আনলো পিএসজিকে।
এই জয়ে ২৪ ম্যাচ শেষে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। সমান ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচেই থাকলো লিল।
/এ এইচ
Leave a reply