পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ১৯৪৮ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিতো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন, রিপোর্টগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব রিপোর্ট থেকে ভাষা আন্দোলনের অনেক অজানা ইতিহাস জানা যাবে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আরও বলেন, কারাগারে থেকেও ভাষা আন্দোলনের নির্দেশনা দিতেন বঙ্গবন্ধু।
সরকার প্রধান বলেন, ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক অধিকার পেয়েছি ঠিকই। কিন্তু বারবার আঘাত এসেছে। জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর নাম ও ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার বারবার চেষ্টা করা হয়।
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলেন, বিশ্বের বুকে বাঙালি হিসেবেই মাথা উঁচু করেই চলবো।
এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৯ বিশিষ্ট নাগরিক ও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এবার একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন— ভাষা আন্দোলনে খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মো. মজিবর রহমান; শিল্পকলায় মাসুদ আলী খান, শিমূল ইউসুফ, মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম, ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর), জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, নওয়াজীশ আলী খান ও কনক চাঁপা চাকমা; মুক্তিযুদ্ধে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর); সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর); গবেষণায় ড. মো. আবদুল মজিদ; শিক্ষায় প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও মোঃ সাইদুল হক; রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান।
একুশে পদক রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।
/এমএন
Leave a reply