যেখানে সেখানে সেলফি তুলতে মেতে ওঠা নিয়ে এখন প্রায়ই আলোচনা-সমালোচনা হয়। কিন্তু যারা সেলফি-মগ্ন তারা সেসবে কান দিতে নারাজ। আশপাশে যদি মানুষের লাশও পড়ে থাকে, কিম্বা মারধর, ভাঙচুর এসবও চলতে থাকে- তবু কারো কারো সেলফি-নেশা কমবার নয় মোটেও।
এমনই দৃশ্য আজ রোববার দেখা গেলো রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায়। দুপুর ১টার দিকে সেখানে এক চালক তার বাস সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর তুলে দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ২ জন। হাসপাতালে যাওয়ার পর মারা যান আরেকজন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুদ্ধরা তখন সেখানে যে গাড়ি পেয়েছেন সেটিই ভাঙচুর করেছেন। ভাঙচুর করা গাড়িগুলো তখন দাঁড়িয়ে আছে ঘটনাস্থলে। রাস্তা ধ্বংসযজ্ঞের রূপ ধারণ করেছে। তিন কিশোর-কিশোরীর শরীরের তাজা রক্ত তখনও সড়কে বইছে। এমতাবস্থায় এক তরুণকে দেখা গেলো সেখানকার দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরার ফ্রেমে এনে সেলফি তুলছেন! কেউ কেউ সেখানে দাঁড়িয়েই ফেসবুক লাইভে নিজেদের চেহারা দেখাচ্ছেন!
অবশ্য এমন ঘটনা শুধু ঢাকা বা বাংলাদেশেই নয়, ভিনদেশেও এমন খবর সংবাদমাধ্যমে আসে মাঝে মাঝেই। সম্প্রতি ভারতের রাজস্থানের একটি সেলফি ভাইরাল হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর আহতের সাহায্যে এগিয়ে না এসে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছিলো এক যুবককে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচিত হয়। সেই দুর্ঘটনায় তিনজনেরই মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার আধা ঘণ্টা পর্যন্ত কেউই সাহায্যে এগিয়ে আসেনি যতক্ষণ না পুলিশ ঘটনাস্থলে না পৌঁছায়।
Leave a reply