একুশের চেতনায় দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বাংলাদেশ। সবক্ষেত্রে শুদ্ধ বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া সাধারণ মানুষের। তাদের দাবি, রক্তের দাম দিয়ে কেনা বাংলা ভাষার বিকৃতি রোধে নিতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা।
ফুলে ফুলে ভরে গেছে স্মৃতির শহীদ মিনার। প্রাণের টানে সাত সকালে শহীদ মিনারে হাজারো মানুষ। স্মরণ করছেন, ভাষার জন্য জীবন দেয়া বীর শহীদদের। পাশাপাশি, বাঙালির এ গর্বের অর্জন, পরের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেও অনন্য প্রচেষ্টা বাবা-মা, স্বজনদের। তাই তো, প্রিয়তম সন্তানকে সাথে নিয়ে প্রভাত ফেরিতে গিয়েছিলেন অনেকেই।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনই যে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের সূচনা করেছিল, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রবীণরা। বলেন, একুশের দেখানো পথেই স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা- বাঙালির সব মৌলিক অর্জন।
সমকালীন বাস্তবতায়ও একুশ প্রাসংগিক। তাই একুশের চেতনায় মুক্তমত, স্বাধীন চিন্তা আর গণতান্ত্রিক পথচলার তাগিদ ছিল শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের। স্বাধীনতা পাচ দশক পরও শিক্ষার সবক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়নি বাংলা ভাষার ব্যবহার। বিভিন্ন দাফতিরক কাজ ও আইন আদালতেও খানিকটা উপেক্ষিত রক্তে কেনা মায়ের ভাষা। সেসব নিয়ে আলোচনাও খোরাক জুগিয়েছে স্মৃতির মিনারে।
সমকালীন বাংলা সাহিত্য, নাটক ও গণমাধ্যমে যাচ্ছে তাই বাংলার ব্যবহার নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেন কেউ কেউ।
কেবল বাংলা ভাষাভাষী নয়, বাঙালির একুশ এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই, দিনটিকে ঘিরে আগ্রহ বেড়েছে বিদেশিদেরও। বিশেষ করে প্রতিবেশি ভারতের অনেকেই ছিলেন শহীদ মিনারে, কেবল সালাম বরকতদের শ্রদ্ধা জানাতে।
শহীদ মিনারে সাধারণের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি জানান দেয়, একুশের দেখানো পথেই হাঁটুক বাংলাদেশ- সে স্বপ্ন এখনও মনে প্রাণে লালন করে এদেশের মানুষ।
/এসএইচ
Leave a reply