দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে শরীয়তপুর পৌরসভার সবকটি খাল। শুষ্ক মৌসুমে ময়লার ভাগাড় আর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরসভাবাসীকে। পানির উৎস না থাকায় অগ্নি নির্বাপনে দেখা দিচ্ছে সংকট। এছাড়া দুর্গন্ধ আর মশা-মাছির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ পৌরবাসী।
১৯৮৫ সালে শরীয়তপুর পৌরসভা গঠনের পর থেকে ধীরে ধীরে হারাতে থাকে পৌরসভার খালগুলোর জলপ্রবাহ। এসব খালের পানি অগ্নি নির্বাপন, সেচসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতেন স্থানীয়রা। এক সময় নৌ-যোগাযোগে ব্যবহার হওয়া জলাধার দখল ও দূষণের কবলে পড়ে এখন অস্তিত্ব সংকটে। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের সবকটি খালের চিত্র একই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যাবতীয় সকল ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। বর্ষায় আবার ওই পচা পানিই রাস্তায় উঠে যায়। আমাদের চলাফেরায় খুবই কষ্ট হয়।
আঙ্গারিয়া, কাসাভোগ, মনোহর বাজার, ধানুকা, পালং, হুগলিসহ অন্তত ১৮টি খাল এখন অস্তিত্ব সংকটে। কোথাও কোথাও খালের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া দুস্কর। দ্রুত খনন না হলে অচিরেই হারিয়ে যাবে শেষ চিহ্নটুকু।
এদিকে পৌর মেয়র পারভেজ রহমান বলছেন, খালগুলোর মালিকানা জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের হওয়ায় রক্ষার দায়িত্বও তাদের। তিনি বলেন, তাদেরই এক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। খালের ওপরে যে অবৈধ স্থাপনাগুলো রয়েছে সেগুলো অপসারণের দাবি আমরা আগেও জানিয়েছি।
আর, দখল হওয়া খালের সীমানা নির্ধারণ ও উদ্ধারে সমন্বিতভাবে কাজ করার আশ্বাস জেলা প্রশাসকের। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, আমরা পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছি। উনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কীভাবে খালগুলোকে পানি চলাচলের উপযোগী করা যায় এটা উনি দেখবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ বছরে শরীয়তপুর পৌরসভায় অস্তিত্ব হারিয়েছে অন্তত ৬টি খাল।
/এসএইচ
Leave a reply