কেবল নিজের ফিটনেস নয়, সতীর্থদের ফিটনেস ধরে রাখতেও উদ্বুদ্ধ করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস মেনে নতুনভাবে আবিষ্কার করছেন নিজেকে। আল নাসরের পুষ্টিবিদ হোসে বেলসা জানিয়েছেন, নিজের আশেপাশে ফিটনেস স্কুল খুলে রাখেন সিআর সেভেন। যা থেকে অনুপ্রেরণা নেন বাকি ফুটবলাররা।
বয়সটা ৩৮’র কোটায়। তবে পেশিবহুল শরীরে তা দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। যে বয়সে তার বেশিরভাগ সতীর্থ বিদায় জানিয়েছেন ফুটবলকে। সেখানে তিনি প্রতিনিয়তই নতুনভাবে খুঁজে ফিরছেন নিজেকে।
ফিটনেস ধরে রাখতে কঠোরভাবে মেনে চলেন নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। নিয়মিত শরীরচর্চায় শরীরে বাড়তে দেননি মেদ। শুধু নিজেকে ফিট রাখতেই নয়, সতীর্থদের বিষয়েও বেশ সংবেদনশীল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়েও যুগিয়ে যাচ্ছেন প্রেরণা।
ক্লাবটির পুষ্টিবিদ হোসে বেলসা জানান, সিআর সেভেন আসার পর বাকি ফুটবলাররা খাদ্যাভ্যাস ও অনুশীলন নিয়ে আরও বেশি সচেতন হয়েছেন।
আল নাসরের পুষ্টিবিদ হোসে বেলসা আরও বলেন, বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে রোনালদো একজন। তবে পেশাদারির দিক থেকে সবার চেয়ে আলাদা তিনি। ফিটনেস নিয়ে রোনালদোর সচেতনতা আল নাসরের বাকি সতীর্থদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। সিআর সেভেনের কাছ থেকে প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু শিখছেন ফুটবলাররা।
রোনালদো সব সময়ই তার আশপাশে ফিটনেসের স্কুল খুলে রাখেন বলে মনে করেন বেলসা। এমন বিশ্বমানের ফুটবলারের কাছ থেকে এমন সাড়া পাওয়া বিরল দৃষ্টান্ত বলেও জানান তিনি।
হোসে বেলসা আরও বলেন, রোনালদো আমাদের অনেক সাহায্য করে। তাকে শেখানোর কোনো কিছুই আর বাকি নেই। অনুশীলনের সময় সে নিজের পাশাপাশি সতীর্থদের ফিটনেসের দিকেও লক্ষ্য রাখে। এমনটা এর আগে আমি কখনোই দেখিনি; যেখানে খেলোয়াড়েরা নিজেরাই শরীরের ৯০ শতাংশ ফিটনেস ধরে রাখে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকতেই সতীর্থদের কঠোর নিয়ম মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতেন এই পর্তুগিজ তারকা। আল নাসরে যোগ দিয়েও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন ৩৮ বছর বয়সী রোনালদো।
আরআইএম/ইউএইচ/
Leave a reply