জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০২১ সালের মার্চে খেলেছেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। ইনজুরিতে ২০২০ সালের ইউরো থেকে ছিটকে যাওয়ার পর জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন এ ডিফেন্ডার। ৩৬ বছর বয়সী এ ফুটবলারের জায়গা হয়নি সবশেষ কাতার বিশ্বকাপেও। নতুন কোচ লুইস ডে লা ফুয়েন্তের পরিকল্পনাতেও নেই তিনি। তাই এক রাশ হতাশা নিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস।
২০১০ সালে স্পেনের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রাখেন রামোস। ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ জয় ছাড়াও স্পেনের হয়ে ২০০৮ ও ২০১২ সালে উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ১৮০ ম্যাচ খেলে তিনি স্পেনের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচে অংশ নেয়া খেলোয়াড়। অবসরের যাওয়ার আগে এ ডিফেন্ডার জাতীয় দলের হয়ে মোট ২৩টি গোল করেছেন।
Seguiré animando a mi país desde casa con la emoción del privilegiado que ha podido representarlo orgulloso 180 veces. ¡Gracias de corazón a todos los que siempre creísteis en mí! ❤️💛❤️ pic.twitter.com/KzVldPhiqo
— Sergio Ramos (@SergioRamos) February 23, 2023
বিদায় বেলায় টুইট বার্তায় রামোস লিখেন, সময় এসে গেছে, জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর। আজকে সকালে আমি বর্তমান কোচ থেকে একটি কল পেয়েছি। তিনি জানিয়েছেন, যেমন পারফরমেন্সই করি না কেন, ক্যারিয়ারে যত কিছুই করে থাকি না কেন, আমি আর কখনো তার পরিকল্পনার অংশ হবো না। আমি সত্যি বিশ্বাস করি, আমার পছন্দে কিংবা জাতীয় দলে আমার পারফরমেন্স উপযুক্ত না হওয়ার কারণে এই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা ছিল, বয়স কিংবা অন্য কোনো কারণে নয়।
তিনি আরও লিখেন, বয়স কোনো গুণ বা দোষ নয়। এটা শুধুই একটা সংখ্যা এবং সামর্থ্যের জন্য অপরিহার্য কিছু নয়। লুকা মদ্রিচ, লিওনেল মেসি ও পেপের মতো খেলোয়াড়দের প্রশংসা করি আমি। তারা ফুটবলের ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, মেধা ও ন্যায়বিচারের নির্যাস। দুর্ভাগ্যবশত আমার ক্ষেত্রে এমন কিছু হচ্ছে না, কারণ ফুটবল সবসময় সুন্দর নয়। তবে আমি দুঃখ নিয়ে এটা মেনে নিচ্ছি, কিন্তু আমার মাথা উঁচু রাখছি।
বিদায় মনের মতো না হলেও পেছন ফিরে তাকিয়ে গর্বের উপলক্ষ অনেক পাচ্ছেন রামোস। তিনি আরও জানান, হতাশা ও দুঃখবোধ থাকলেও মাথা উঁচু রাখছি আমি। অবিস্মরণীয় সব স্মৃতি আমার সঙ্গী, যেসব শিরোপার জন্য আমরা একসঙ্গে লড়েছি ও উদযাপন করেছি। স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার যে রেকর্ডে, আমি অসাধারণ গর্ববোধ করি।
২০২১ সালের ৩১ মার্চ কসোভোর বিপক্ষে ম্যাচে মিনিট চারেক মাঠে ছিলেন রামোস। জাতীয় দলের হয়ে সেটিই হয়ে রইলো তার শেষ ম্যাচ। ওই বছরই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমান এই ডিফেন্ডার। সেখানে চোটের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই চলে তার। স্পেন কোচ এনরিকে তাকে আর সুযোগ দেননি জাতীয় দলে। এটা নিয়ে বিতর্কও হয় অনেক।
আরআইএম/ইউএইচ/
Leave a reply