বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন কনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তার মৃত্যুর পরেও বিয়ে থেমে থাকেনি। পাত্রীর বোনের সঙ্গে বরের বিয়ে দেয়া হয় ওই দিনই। পাত্রপক্ষকে খালি হাতে ফেরাতে চায়নি পরিবার ও এলাকাবাসী। তাই ওই দিনেই এক হল চার হাত।
নিউজ১৮ এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাটি ভারতের গুজরাটের ভাবনগর এলাকার। মৃতের নাম হেতাল। তার সঙ্গে নারি গ্রামের বিশালের বিয়ের আসর বসেছিল ভগবানেশ্বর মহাদেব মন্দিরে। সকাল থেকে বিয়ের আয়োজনে মেতেছিল সবাই। পাত্রীও সেজেগুজে একের পর এক নিয়মকানুন পালন করছিলেন। কিন্তু গানবাজনা, ধুমধামের মাঝে হঠাৎ মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান কনে। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কনের মৃত্যু হয়েছে।
এই মৃত্যুতে বিয়েবাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। কান্নাকাটির মাঝেই কনের বোনকে ছাদনাতলায় তোলেন আত্মীয়স্বজনেরা। অভিযোগ, প্রতিবেশীরা ওই পরিবারকে বুঝিয়েছিলেন, পাত্রপক্ষকে খালি হাতে ফেরাতে নেই। সেই কারণেই কনের বোনকে বিয়ে করতে রাজি করানো হয়।
মৃত তরুণীর দেহ হিমঘরে রেখেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। সেই বিয়েতে ধুমধামেরও কোনও কমতি ছিল না। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর মৃতের শেষকৃত্য করেন পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিবেশীদের কথা শুনেই সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে উদ্যোগী হয় কনেপক্ষ। সেই কারণেই বিয়ের দিন কনের মৃত্যুর পরও বিয়ে বাতিল না করে বদলে ফেলা হয় পাত্রী।
এনবি/
Leave a reply