তৌহিদ হোসেন:
দেশে এক বছরে চীনা আদার দাম বেড়েছে ১১১ শতাংশ। আর কোনো বাধাতেই নামছে না বিদেশি রসুনের দর। অথচ সরবরাহে কোনো সংকট নেই।
যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, আগের চেয়ে বাজার স্থিতিশীল। রোজার আগে দাম আরও কমবে। তবে পাইকারির সাথে খুচরা বাজারে দামে এত ফারাক দেখে হতভম্ব আমদানিকারকরা। পরামর্শ দিলেন, আদা-রসুনের আড়ত ধরে-ধরে অভিযান পরিচালনা করা উচিৎ প্রশাসনের।
মূলত, রোজার আগে বাজার নিয়ে শঙ্কা কাটছেই না। ডলার ঘাটতির কারণে এরইমধ্যে পণ্যের দর বেড়েছে গড়ে ৩০ শতাংশ। আর এরমধ্যে দাম বৃদ্ধিতে রেকর্ড গড়েছে আদার বাজার।
গেলো বছর রোজার আগে বিদেশি আদার কেজি ছিল ১২০ টাকা। এবার সেই দর প্রায় আড়াইশ টাকা। ছেড়ে কথা বলছে না রসুনও। ৮০-৯০ টাকার চীনা রসুন এখন কিনতে হচ্ছে গড়ে ১১০ টাকায়। তবে দেশি জাতের সরবরাহ ভালো। বলা হচ্ছে, এলসি জটিলতায় আদা-রসুন আমদানিতে ধাক্কা লেগেছে। অথচ রাজধানীর কারওয়ানবাজারে কোনো দোকানে পণ্যের ঘাটতি নেই। খাবার আনতে ডলার সংকট হবে না, সে তথ্য আগেই জানিয়েছে সরকার। তাহলে, বাজার কিংবা পাড়া-মহল্লায় আদা-রসুনের দাম কেন বাড়ছে?
এর উত্তরে কারওয়ান বাজারের কয়েকজন দোকানদার বললেন, আমদানি করা এই চীনা আদা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। আগে ১০ জন আমাদনি করলে এখন করছে ৫-৬ জন্য। অন্যরা বাজার থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। অনেকে লস দিছেন অনেক টাকা।
১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার টন খাদ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। যার মধ্যে ১০ হাজার টনই আদা, রসুন ও পেঁয়াজ। রমজানের পণ্য দ্রুত ছাড়ে অনুরোধ করা হয়েছে ভারতীয় কাস্টমসকেও।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, সরকারের ঘোষণার পর এলসি নিয়ে ব্যাংকের অবস্থান শিথিল হয়েছে। তারপরও আদা-রসুনের দর খুব একটা কমেনি।
আমদানিকারক নূর ইসলাম বাবু বলেন, রমজানে আদার দাম যাতে না বেড়ে সেজন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। আর সরবরাহও ঠিক রাখার জন্য আমদানি বেশি করার চেষ্টা চলছে।
হিলি আমদানিকারক গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বাজারে বেশি দামে আদা বিক্রি করবে, এটা তো তদারকি করা দরকার। আমি বন্দরে আদা বিক্রি করবো ৬৫ টাকায়, আর ঢাকায় নিয়ে গিয়ে কেউ ১০০ টাকায় বিক্রি করবে তা তো হয় না। প্রয়োজনে চালান চেক করবে।
বড় আকারের বিদেশি আদা-রসুনের তুলনায় দেশি জাতের বেচাকেনা নেই। দামও তুলনামূলক কম।
/এমএন
Leave a reply