ভয়ভীতিহীন নির্বাচন ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ করতে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান। বলেন, নিজেদের মেয়াদের প্রথম বছরে এ পর্যন্ত যতো নির্বাচন হয়েছে তাতে যেখানে বাধা, অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বুুধবার (১ মার্চ) এক লিখিত বক্তব্যে এমন তৎপরতার কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত বর্তমান ইসির অধীনে পাঁচ শতাধিক নির্বাচন হয়েছে; যার সিংহভাগই ইভিএমে। এসব ভোটে নির্ভরযোগ্য কোনো অভিযোগ তো আসেই নাই এবং সংক্ষুব্ধ কেউ আদালতেও দ্বারস্থও হয়নি। ইভিএমের নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেয়া প্রসারিত করেছে। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে অবাঞ্ছিত লোকের উপস্থিতি ও কেন্দ্রে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের ‘সেফটি’র বিষয়ে কমিশন বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সারা বছরই ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। হালনাগাদে নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরেও সারা বছরই যোগ্যরা ভোটার হতে পারছেন। ভোটার হওয়ার পাশাপাশি তাদের এনআইডি সেবাও সহজীকরণে সব ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। প্রত্যেক ভোটারের নাগরিক অধিকার তার ভোটাধিকার। এ অধিকার রক্ষায় আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।
ইসি মনে করেন, নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে সবাইকে। যেকোনো উপায়েই জিততে হবে এমন প্রবণতা থেকে যেমন বেরিয়ে আসতে হবে, তেমনি পরাজয় মেনে নেয়া প্রবণতা থাকতে হবে।
ইসি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন শুধু ভালো নির্বাচন করবো; কিন্তু যিনি বা যারা পরাজিত হবেন তিনি বা তারা সমালোচনায় মুখর হবেন তা সমীচীন নয়। নির্বাচনের গুণগত সংস্কৃতির বিকাশে ভোটার, দল, অংশীজনসহ সবার সহযোগিতা দরকার। ভোট নিয়ে কল্পনাপ্রসূত কোনো শঙ্কার বশবর্তী হয়ে নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতিও কাঙ্ক্ষিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সব দলকে ভোটে আসার বিষয়ে ইসির আহ্বান বরাবরই অব্যাহত থাকে জানিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটাধিকার মুখের কথা নয়, এটাকে অর্থবহ করতে আমাদের সব ধরনের উদ্যোগ, সর্বোচ্চ সদিচ্ছা থাকবে। আমরা চাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচন হোক অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক।
সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা আশ্বস্ত করে বলেন, ভোটে আসেন সবাই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক। গোলযোগ, সহিংসতা পরিহার করতে হবে; নির্বাচন কমিশনও অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে ভোটের মাঠেও ভারসাম্য থাকবে। ভোটে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচনী এজেন্টদের বাধা-বিপত্তিতে শাস্তি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে এ কমিশন।
ভোটের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, ভোটাররাও উৎসবমুখরভাবে কেন্দ্রে আসবেন, নিরাপদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ঘরে ফিরে যাবেন। ভোটার দিবসেই শুধু নয়, আমরা সব সময় আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে পালন করবো। পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও কামনা করি।
ইউএইচ/
Leave a reply