ফরাসি ফুটবলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নোয়েল লা গ্রায়েত। এক নারী ফুটবল এজেন্টকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ও জিনেদিন জিদানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।
ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হওয়ার বিষয়ে জিদানকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করে বসেন নোয়েল লা গ্রায়েত। উল্টো বিশ্বকাপের পর দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ায় ফ্রান্স। আর সবশেষ ফ্রান্সের এক রেডিওতে সাক্ষাৎকারে লে গ্রায়েতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন ফুটবল এজেন্ট সোনিয়া সোইদ। পরে রিপোর্টে বলা হয় ফ্রান্স ফুটবলকে পরিচালনা ও প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যায্যতা নেই গ্রায়েতের।
৮১ বছর বয়সী লা গ্রায়েতের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে এ বছরের জানুয়ারিতে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ) শুরু করে তদন্ত। সে সময় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন লা গ্রায়েত। এফএফএফ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের প্রতি তার আচরণ, তার প্রকাশ্য মন্তব্য এবং এফএফএফ পরিচালনায় ব্যর্থতা বিবেচনা করে ফরাসি ফুটবল পরিচালনা এবং প্রতিনিধিত্ব করার প্রয়োজনীয় বৈধতা নেই নোয়েল লা গ্রায়েতের।
এর আগে, দিদিয়ের দেশমকে ২০২৬ পর্যন্ত ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব দেয়ার পর আরএমসি স্পোর্টসকে একটি সাক্ষাৎকার দেন লা গ্রায়েত। সাক্ষাৎকারে প্রধান কোচের অন্যতম দাবিদার জিনেদিন জিদানকে নিয়ে তিনি বলেন, জিদান যদি আমাকে ফোন করতো, তাহলে কী হতো? নিশ্চিতভাবে কিছুই হতো না। আমি ওর ফোনই তুলতাম না।
জিদান কোথায় কী করবেন, সেটিকে ‘পাত্তা’ দেন না মন্তব্য করে বর্তমান ও সাবেক ফুটবলারদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি ওদিয়া-কাস্তেরা জিদানের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন লা গ্রায়েতকে। সেদিনই তিনি ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর ডেলিগেশনের অংশ হিসেবে সংস্থাটির প্যারিস অফিসের দায়িত্বে বসেন লা গ্রায়েত। ফরাসি ফুটবলের প্রধান হিসেবে ২০১১ সাল থেকে ছিলেন তিনি। লা গ্রায়েতের মেয়াদ ছিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এর আগেও যৌন হয়রানির অভিযোগে উঠেছে লা গ্রায়েতের বিরুদ্ধে, যার সবই তিনি অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: অপহরণ ও অত্যাচারের অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি পিএসজি প্রেসিডেন্ট
/এম ই
Leave a reply