হিলিতে বেড়েছে আমদানি, কাটেনি এলসি জটিলতা

|

রমজান সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। ছোলা, ডাল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানির জন্যে ঋণপত্র খুলেছেন অনেক ব্যবসায়ী। বন্দরে খালাস হচ্ছে পণ্য। তবে এখনও কাটেনি ঋণপত্র খোলার জটিলতা। আমদানিকারকদের অভিযোগ, আমদানি মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ১০/১৫ শতাংশ অর্থ দিয়ে ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে।

রমযানের আর বেশিদিন বাকি নেই। এই মাসে ছোলা, ডাল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বাড়ে। পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হিলিবন্দরের আমদানিকারকরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। ঋণপত্র খুলেছেন অনেক ব্যবসায়ী। আমদানিকারক ললিত কেশোয়ার জানান, তারা ছোলা আমদানির দিকে বেশি জোর দিয়েছেন। ছোলার চাহিদা রমজানের এক মাস আগে থেকেই বেড়ে যায়। আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, পর্যাপ্ত পেঁয়াজের এলসি করা আছে। রসুন, শুকনো মরিচেরও এলসি করা আছে। ছোলাও ঢুকছে।

ঋণপত্র চালু করতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বলছেন, ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাংক থেকে মার্জিন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং, পণ্যমূল্যের চেয়ে ১০/১৫ শতাংশ বেশি অর্থ দিয়ে ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে ব্যয়। আমদানিকারক দিনেশ পোদ্দার বলেন, পণ্যের দামের চেয়ে বেশি অর্থ যদি বিনিয়োগ করতে হয় তবে, ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। আরেক আমদানিকারক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঋণপত্র মানে হচ্ছে, বাকিতে পণ্য আসবে। বিক্রি করে অর্থ পরিশোধ করা হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।

ব্যাংকারদের দাবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনেই তারা ঋণপত্র খুলছে। ব্যাংক ঝুঁকি নিতে চায় না। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্ক বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। হিলি ন্যাশনাল ব্যাংকের ম্যানেজার আরশাদ হোসেন বলেন, আমার এই ব্রাঞ্চে ১১০ শতাংশ করা হয় না। সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ।

হিলি যমুনা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার কুন্ডু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আছে যে, ১০০ বা ১১০ শতাংশ নিয়ে ডলার বুকিং দিতে হবে। ডলার আজকে বুকিং নিলে সেই রেটে বিল ছাড়তে হবে। তাছাড়া যেভাবে ডলারের দাম বাড়ছে তাতে যদি ১১৫ শতাংশে উঠে যায়, সেক্ষেত্রে পার্টিরা বিল ছাড়ার সময় হয়তোবা একটি এলসিতেও ৩-৪ লাখ টাকা বেশি লাগবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের সংকট হবে না। খোলাবাজারেও পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে। আমদানিকারক দিনেশ পোদ্দার বলেন, যেভাবে ডাল, ছোলা ঢুকছে তাতে রমজান মাসে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। আমদানিকারক মোস্তাফিজার রহমানও একই মত দিয়ে বলেন, সামনের রমজানে পণ্যমূল্য বাড়বে না।

আরও পড়ুন: ফলের বাজারে অস্থিরতা, রমজানকে সামনে রেখে বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে দাম

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply