বলেশ্বর নদীতে ডাকাতি, ১০ জেলেকে মারধর

|

বরগুনা প্রতিনিধি :

বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার করে ঘাটে যাওয়ার পথে বরগুনার পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীতে নামবিহীন একটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা মাছ বিক্রির নগদ টাকা, মাছ, তৈলসহ রসদ লুটে নেয় ডাকাতরা।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বলেশ্বর নদের রুহিতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেলে ফিরে আসা জেলেরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি এলাকায়। মালিকের নাম রবিউল ইসলাম।

ডাকাতির শিকার ট্রলারের মাঝি আমিনুল ইসলাম জানান, সাগরে মাছ শিকার করে বিক্রি করার জন্য ঘাটে ফেরার পথে রুহিতা সংলগ্ন বলেশ্বর নদ এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সার্চ লাইট দিয়ে সংকেত দেয়। কিছুক্ষণ পরই তিনটি ট্রলারে অন্তত ১২ জন লোক তাদের ট্রলারের সাথে নোঙ্গর করে। পরে দড়ি দিয়ে বেঁধে ট্রলার ও জেলেদের নিয়ে সুন্দরবনের দিকে রওনা হয়। এ সময় জেলেদের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে জেলেরা মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১০ জেলেকে পিটিয়ে আহত করে। পরে ট্রলারে থাকা মাছ বিক্রির নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১২০ কেজি মাছ, ৩ ব্যারেল তেল, তিনটি মোবাইল ফোনসহ রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ট্রলারে থাকা জেলেদের খাবার ও জামা কাপড় নদীতে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ট্রলারের মাঝি আমিনুল ইসলাম (৩৫), মহিদুল ইসলাম (৪৫), হাবিবুর রহমান (৩২), মুসা গাজী (৩৮), মো. বাচ্চু মিয়া (৩০), মো. তুহিন শেখ (৩০), মো. হাবিব (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৮), মো. ফরহাদ (২২) ও মিজানুর রহমান (৪০)। তাদের মধ্যে তুহিন, ফরহাদ, হাবিব ও বাচ্চুকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ট্রলারসহ খুলনায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, এরকমের একটি ঘটনা শুনেছি। আমার কাছে ডাকাতি হওয়া ট্রলারের জেলেরা এসেছিল। আমি আইনি সহযোগিতা করার জন্য থানায় যেতে বলেছি।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. শাফায়েত আবরার বলেন, জেলেদের মাধ্যমে ডাকাতির খবর জেনেছি। আহত জেলেদের মধ্যে দু’জনের সাথে কথা হয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত মাসের ১৭ তারিখ দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এফবি ভাই ভাই ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রলারে থাকা ১৮ জেলের মধ্যে ৯ জেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়। এতে এখন পর্যন্ত তিন জেলের মৃত্যু হয়েছে। এখনো তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply