পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রস্তাবে রাজি ইরান

|

পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সহায়তা করতে রাজি হয়েছে ইরান। শনিবার (৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রসি নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। তিনি বলেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ক্যামেরাসহ অন্যান্য নজরদারি ডিভাইসগুলো চালুর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তেহরান। খবর আল জাজিরার।

আইএইএ’র সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮৩.৭ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামে সমৃদ্ধ ইরান। যেখানে পারমাণবিক বোমা তৈরি করার জন্য শতকরা ৯০ ভাগের মতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। গোপন প্ল্যান্টে চলছে কর্মসূচি এমন কথাও উঠে আসে রিপোর্টে।

অবশ্য ইরান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে আইএইএ। শনিবার তেহরান সফরে যান সংস্থাটির প্রধান রাফায়েল গ্রসি। সাক্ষাৎ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরমাণু বিষয়ক কর্মকর্তাদের সাথে। আইএইএ’র তদন্তে সহায়তায় ইরানকে রাজি করানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য। আর এ বিষয়ে সমঝোতাও হয় তেহরানের সাথে।

পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ক্যামেরা ও অন্যান্য পর্যবেক্ষণ সরঞ্জামগুলো পুনরায় সংযোগ দেয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান। তবে কোন ডিভাইসগুলো চালু হবে বা কবে নাগাদ চালু হবে তা নির্দিষ্ট করেনি তেহরান।

রাফায়েল গ্রসি বলেন, বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপের বিষয়ে একমত হয়েছি। এবার পরমাণু কেন্দ্রের অবস্থান ও তথ্য জানতে পারবো। ইরানের সাথে আলোচনা হয়েছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইরান নিশ্চিত করেছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে আন্তর্জাতিক মাত্রা অনুসরণ করবে। এটাই স্পষ্ট করা দরকার ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, ইরান ও ছয় বিশ্ব শক্তির মধ্যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার একটি প্রচেষ্টা হলো আইএইএ প্রধানের এই তেহরান সফর। ২০১৮ সালে অর্থাৎ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে চুক্তিটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর শুরু হয় টানাপোড়েন। পরের বছরই ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ঘোষণা দেয় ইরান।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply