নতুন আইনে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

|

ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে সরকারের বিতর্কিত আইন নিয়ে তোলপাড় চলছে যুক্তরাজ্যে। প্রস্তাবিত নতুন বিলে নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে ব্রিটেন যাওয়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে বিরোধী দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তোপের মুখে পড়েছে সরকার। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিবাসী সংকটে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আইনের নামে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে তারা। খবর রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়েছে, অবৈধ পথে নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে ব্রিটেন গেলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয়ের জন্য আবেদনের কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। বরং তাদের আটক করার পর ফেরত পাঠানো হবে নিজ দেশে। আর যদি তাদের দেশ নিরাপদ না হয় তবে পাঠানো হবে রুয়ান্ডায়।

অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে এমনই এক আইন করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। পার্লামেন্টে নতুন আইনের বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেন, সমুদ্রপথে ব্রিটেনে আসতে গিয়ে অনেকে মারা যাচ্ছে, তারা আমাদের আইন ভঙ্গ করছে, তারা ব্রিটিশ জনগণের উদারতার অপব্যবহার করছে। এসব বন্ধ করতেই পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। মানব পাচারকারীদের চক্র ভাঙতে হবে। কেউ যদি যুক্তরাজ্যে আসতে চায়, অবশ্যই তাদের উচিত নিরাপদ ও আইনি পথে আসা।

ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। বিরোধীদলের দাবি, অভিবাসন সমস্যা মোকাবেলায় নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকারের এই বিল। যদিও, নতুন আইনের পক্ষে সাফাই গাইছেন প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, আমাদের নীতি খুবই স্পষ্ট। মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে, তারা অবৈধভাবে এই দেশে আসলে, তাদের আটক হতে হবে এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। একবার এমনটা শুরু হলে আশা করি, নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে তারা এদেশে আসা বন্ধ করবে।

উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআরসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তাদের আশঙ্কা নতুন আইন কার্যকর হলে ক্ষুণ্ণ হতে পারে শরণার্থীদের অধিকার।

মানবাধিকার কর্মী ক্লারে মোসলে বলেন, এই পদক্ষেপের কারণে মানুষের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না। এমনকি চ্যানেল পাড়ি দেয়া বন্ধ করতে গেলো দশ বছরে সরকার যতগুলো পদক্ষেপ নিয়ে কোনোটাই কাজে আসে নাই। এটিও তেমন পার্থক্য গড়তে পারবে না। বরং যারা সত্যিকার অর্থেই শরণার্থী, এধরণের আইন তাদের বিপাকে ফেলবে।

প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ছোট ছোট নৌকায়, বিপজ্জনক ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে যুক্তরাজ্য যায়। সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ এ পথ পাড়ি দেয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply