সীমান্তে বাড়ছে চোরাচালান; প্রতিনিয়তই কৌশল পাল্টাচ্ছে চোরাকারবারিরা

|

রিয়াজ রায়হান:

স্থল সীমান্তে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে স্বর্ণ চোরাচালান। চোরাকারবারিদের নিত্যনতুন কৌশলে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। চোরাচালান ঠেকাতে তাই আরও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা।

স্থলবন্দরের মতো স্থল সীমান্তেও চোরাচালান পুরনো সমস্যা। মাদকের সঙ্গে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে স্বর্ণ চোরাচালান।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে স্বর্ণ আটকের পরিমাণ যেখানে প্রায় ৫১ কেজি, ২০২২ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় চারগুন। আর চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেই আটকের পরিমাণ ৫৪ কেজি। সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ আটক করা হয়েছে যশোর-বেনাপোলের সীমান্ত থেকে।

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বলেন, আজকে যেই প্রযুক্তি আধুনিক মনে হচ্ছে, তা কাল পুরাতন হচ্ছে। যারা এ ধরনের কাজে জড়িত, তারা ধরা পড়লে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। আরও ডিজাটালাইজড পদ্ধতিতে চেক করে স্বর্ণ চোরাচালান, মাদকসহ এসব বিষয়ে আমাদের কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।

এদিকে, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে নিয়মিত বিরতিতে যৌথ অভিযানের ওপর জোর দিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা। আর স্থল বন্দর দিয়ে দেশে আসা যাত্রীদের তল্লাশিকে কেন্দ্র করে হয়রানি ঠেকাতে সমন্বিত ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিজিবি মহাপরিচালক ও ব্যবসায়ীরা।

দেশে ফেরা যাত্রীদের কয়েক ধাপে তল্লাশির পর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় টার্মিনালের ভেতরেই। কিন্তু লাগেজ বের হওয়ার পর দুই কদম গেলেই আবারও পড়তে হয় তল্লাশির মুখে। এবার নতুন করে সব ব্যাগ খুলে জেরার মুখে পড়েন যাত্রীরা। এরপর আরও একটু সামনে যেতেই আবারও বিজিবির তল্লাশি।

বিদেশ ফেরত যাত্রীদের এমন ভোগান্তি বন্ধে কাস্টসমের সঙ্গে কীভাবে সমন্বিত তল্লাশি করা যায়, সে প্রক্রিয়া চলমান বলে জানালেন বিজিবির মহাপরিচালক।

এছাড়া, স্থল বন্দরের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে প্রযুক্তিসহ দক্ষ জনবলের ওপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, যাত্রী হয়রানি ও ভোগান্তি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা জরুরি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply