ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে রাশিয়ার প্রতিবেশিরা

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ক্রমে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে রাশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলো। জর্জিয়া-মলদোভায় বিক্ষোভ আর সহিংসতার পেছনে পরস্পরের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার। মলদোভায় মস্কো অনুগত সরকার বসাতে চায় পুতিন প্রশাসন- এমন অভিযোগ ওয়াশিংটনের। আর, পশ্চিমারা জর্জিয়ার বিরোধী দলকে মদদ দিচ্ছে বলে দাবি ক্রেমলিনের। খবর রয়টার্সের।

দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার অভিযোগ, তাদের প্রতিবেশি দেশগুলোয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্জিয়া-মলদোভায় সাম্প্রতিক বিক্ষোভ-সহিংসতার পর আরও জোরালো হয়েছে তাদের এ দাবি। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দুই দেশের বিষয়ে আলাদা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে ওয়াশিংটন, এমন অভিযোগও করেছে মস্কো।

‘বিদেশি এজেন্ট বিল’ কে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল জর্জিয়া। শুক্রবার (১০ মার্চ) বিলটি বাতিল হলেও শেষ হয়নি সংকট- বলে মন্তব্য করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমা স্বার্থসিদ্ধির কাজ করছে জর্জিয়ার বিরোধীরা, বলেন এমন কথাও।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জর্জিয়ার বিরোধীদের সমর্থন দিচ্ছে, অথচ একই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য নিন্দিত হচ্ছে মলদোভার বিরোধীরা। এর কারণ হলো, জর্জিয়ার বিরোধীরা পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষা করে। আর মলদোভার এজেন্ডা আলাদা। সেখানে পশ্চিমাদের স্বার্থ দেখছে সরকার ও প্রেসিডেন্ট।

মলদোভাজুড়ে বাড়ছে রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা, গত সপ্তাহে এক মার্কিন প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য। একই ধরনের কথা বলছে হোয়াইট হাউসও। মার্কিন গোয়েন্দাদের বরাতে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মস্কো মলদোভায় বিক্ষোভ উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে। রুশ গোয়েন্দাদের সাথে সম্পৃক্তরাই এ বিক্ষোভ পরিচালনা ও বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, মলদোভা যেহেতু ইউরোপের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে তাই তাদের সরকারকে দুর্বল করতে চাইছে রাশিয়া। সেখানে রুশপন্থী সরকার বসাতে চায় মস্কো। তারাই মলদোভা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ব্যবহার করছে।

প্রসঙ্গত, সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে জর্জিয়া ও মলদোভা। ২০২২ সালের মার্চে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করে জর্জিয়া। একই বছর ইইউ এর সদস্যপদ পায় মলদোভা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply