বাংলাদেশে সার্কুলার বা বৃত্তাকার অর্থনীতির সম্ভাবনা ব্যাপক। এটি বিকাশের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প।
সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআইর আয়োজনে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’র কর্ম অধিবেশনে এমন তথ্য উঠে আসে। পরিবেশ বান্ধব বিনোয়োগের জন্যেও এ সময় আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের হিসেবে বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে মোট ‘জলবায়ু-স্মার্ট’ বিনিয়োগের সম্ভাবনা ১৭২ বিলিয়ন ডলার। সবুজ ভবন, পরিবহন অবকাঠামো, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষি, এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বাড়বে।
আলোচকরা বলেন, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন, ২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের। এসব লক্ষ্য অর্জনে সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ উঠে আসে কর্ম অধিবেশনে। বৃত্তাকার অর্থনীতিতে সম্পদের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, শিল্পে সবুজ বিনিয়োগ শুধু পরিবেশকেই সুরক্ষা দেয় না, এটি ব্যবসাকেও সমৃদ্ধ করে। যার উদাহরণ তৈরি পোশাক খাত। বৃত্তাকার অর্থনীতির সম্ভাবনা ব্যাপক; এক্ষেত্রে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনায় পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণে জোড় দেবার বিকল্প নেই।
/এম ই
Leave a reply