নোবেলজয়ী মানুষের জন্য খয়রাতি বিজ্ঞাপন কেন: প্রধানমন্ত্রী

|

শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকারের পক্ষ থেকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিশ্বের ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে যে খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাতার সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিক ফরিদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে এ নিয়ে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘এটা বিবৃতি না। এটা একটা বিজ্ঞাপন। ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে। এর উত্তর কী দেবো জানি না। আমার একটা প্রশ্ন আছে, যিনি এত নামি-দামি নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত, তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে বিজ্ঞাপন দিতে হবে কেন? প্রজ্ঞাপন কেন দিতে হলো? যে যাই হোক। আমার দেশে কতগুলো আইন আছে। সে আইন অনুযায়ী সব চলবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন। শ্রমিকদের অধিকার আছে, ট্যাক্স বিভাগ আছে। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে শ্রমিক আদালত আছে। এই ক্ষেত্রে আমার তো কিছু করার নেই সরকার প্রধান হিসেবে। আমাকে কেন দিল বুঝতে পারলাম না। পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। এইটুকুই বললাম।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। চিঠিতে তারা বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন অনবদ্য পরিশুদ্ধ মানুষ এবং তার কার্যক্রমগুলো বাংলাদেশ সরকারের অন্যায় আক্রমণের শিকার হচ্ছে এবং বারবার হয়রানি ও তদন্তের মধ্যে পড়ছে।

ওই ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, রেজাল্টস অ্যান্ড সিভিক কারেজের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ডালি হ্যারিস, সংগীতশিল্পী ও অ্যাকটিভিস্ট বোনো, ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট লর্ড মার্ক ম্যালোক ব্রাউন, ড্যালেয়ার ইনস্টিটিউট ফর চিলড্রেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা লে. জে. (অব.) রোমিও ডালাইরার মতো বিশিষ্টজন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply