Site icon Jamuna Television

উচ্চাভিলাষী হচ্ছে না আগামী বাজেট

তৌহিদ হোসেন:

উচ্চাভিলাষী বাজেট থেকে সরে আসছে সরকার। আগামী অর্থবছরে গুরুত্ব পাবে ঘাটতি মোকাবেলা। টানতে হবে বিনিয়োগ। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানালেন, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে আটকে রাখাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। ধরে রাখতে হবে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও। তবে অর্থের অপচয় রোধ করা গেলে লক্ষ্য অর্জন খুব একটা কঠিন হবে না।

এদিকে, আগামী বাজেট হচ্ছে বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। বাজেটে জাতীয় নির্বাচন গুরুত্ব পাবে, সে আভাস মিলেছে এডিপি সংশোধনের সময়েই। কাটছাঁটের গণিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পায় স্থানীয় সরকার বিভাগ। জরুরি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য রাখা হয়েছে থোক বরাদ্দ।

এছাড়া, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামাও সহসাই থামছে না। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সুযোগও অল্প। তাই বলা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও ভতুর্কির চাপ থাকবে। তবে আইএমএফের ঋণের কিস্তি আদায়ে এটি সহায়ক না। তাই নতুন বাজেটে বড় আকারে কমবে ভর্তুকি। সাথে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার বিনিময় হারে অস্থিরতা কমিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে চায় সরকার।

ড. শামসুল আলম বলেন, উচ্চাভিলাষী শব্দটা এবার প্রয়োগ হবে না। কারণ, মূল্যস্ফীতির কারণে আমাদের বাজেট ঘাটতি সীমার মধ্যে রাখতে হবে। যেহেতু এডিপি বাস্তবায়ন কিছুটা কম হয়েছে এবং আমাদানি নিয়ন্ত্রণ করেছি, কাজেই রাজস্ব বৃদ্ধির সুযোগ কম।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নির্ধারিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদায় গতি নেই বললেই চলে। এই ধাক্কা এসে পড়েছে রাজস্ব প্রবাহে। তাই বিশ্লেষকরাও বলছেন, সংকোচনমুখী বাজেট ছাড়া অর্থনীতি সামাল দেয়া কঠিন।

পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যত তাড়াতাড়ি আমাদের মূল্যস্ফীতিকে কমিয়ে যায়, সেদিকেই সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। প্রবৃদ্ধির বছর এটা নয়। এ বছর নির্বাচনের বছর, সরকার চাপে থাকে, ব্যয় বাড়াতে হয়। কিন্তু এ বছর ব্যয় বাড়ানো যাবে না। এ বছর যদি ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে এটা আমাদের পায়ে কুড়াল মারার সমান হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

/এমএন

Exit mobile version