ম্যানসিটির ৭, হাল্যান্ডের ৫

|

ছবি: সংগৃহীত

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে আর্লিং হাল্যান্ডের গোল উৎসবের রাতে বিধ্বস্ত আরবি লাইপজিগ। জার্মান ক্লাবটিকে ৭-০ ব্যবধানের গোল বন্যায় ভাসিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। গোলমেশিন খ্যাত হাল্যান্ড একাই করেন ৫ গোল।

নিজেদের ঘরের মাঠ ইতিহাদে লাইপজিগকে আতিথ্য জানায় ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম লেগে জার্মান ক্লাবটির মাঠে ড্র হওয়ায় এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প কোনো পথ ছিল না সিটিজেনদের সামনে। তবে আরবি লাইপজিগকে নিয়ে ছেলেখেলায় মাতবে ম্যানচেস্টার সিটি, এটা অনেকেই হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি।

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচের শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণে রেখে জার্মান দলটিকে চেপে ধরে সিটি। ম্যাচের ২২ মিনিটে ডি বক্সে লাইপজিগ ডিফেন্ডার বেনিয়ামিন হেনরিকসের হাতে বল লাগলে ভিএআরে পেনাল্টি পায় ম্যানসিটি। সেখান থেকে হাল্যান্ডের সফল স্পট কিকে লিড সিটিজেনদের।

এর ঠিক ২ মিনিট পর নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন হাল্যান্ড। যদিও গোলটি হতে পারতো কেভিন ডে ব্রুইনের। বক্সের বাইরে থেকে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল হেডে জালে পাঠান এই নরওয়েজিয়ান তারকা।

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে পোস্ট ছেড়ে বক্সের বাইরে এসে টিমো ভেরনারকে ট্যাকল করেন সিটির গোলরক্ষক এডারসন। ফ্রি-কিকের আবেদন করেন জার্মান ফরোয়ার্ড। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। উল্টো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোয় তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

বিরতিতে যাওয়ার অন্তিম মুহূর্তে হ্যাটট্রিক করেন হাল্যান্ড। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল দিয়াস হেড করলে ব্লাসউইচ রুখে দেন। তার হাত ফসকে বল পড়ে গোললাইনে। হাল্যান্ড সময় নষ্ট করেননি। আলতো ছোঁয়ায় বল জালে রাখেন। এই মৌসুমের পঞ্চম হ্যাটট্রিক করেন তিনি। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় গার্দিওলার শিষ্যরা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান ইল্কে গুন্দোগান। জ্যাক গ্রিলিশের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে ১৬ গজ দূর থেকে শটে গোল করেন জার্মান মিডফিল্ডার। গোল উৎসব এখানেই থামেনি। পাঁচ মিনিট পর কর্নার থেকে বার্নার্ডো সিলভা হাল্যান্ডের দিকে বল পাঠান, দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় নিজের চতুর্থ ও দলের ৫ম গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।

ছবি: সংগৃহীত

এরপর আবারও হাল্যান্ড শো। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে আকনজির প্রচেষ্টা ফেরান গোলরক্ষক। ফিরতি বল জোরালো শটে আবার জালে পাঠান হাল্যান্ড। সিটির হয়ে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের নতুন রেকর্ড গড়লেন তিনি, ৩৯টি। ভেঙে দিলেন টমি জনসনের প্রায় শতবর্ষী রেকর্ড। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে ৩৮ গোল করে রেকর্ডটি গড়েছিলেন সাবেক এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। এছাড়াও লিওনেল মেসি ও লুইজ আদ্রিয়ানোর পর তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে পাঁচ গোল করলেন।

ছবি: সংগৃহীত

গোল সংখ্যা হয়তো এ দিন হাল্যান্ডের আরও বাড়তে পারতো, তবে ৬৩তম মিনিটে তাকে তুলে হুলিয়ান আলভারেসকে নামান গার্দিওলা। এরপর ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন লাইপজিগ। সিটিও মরিয়া ছিল ব্যবধান বাড়াতে। ম্যাচের যোগ করা সময়ে সপ্তম গোলের দেখা পায় ইংলিশ জায়ান্টরা। রিয়াদ মাহরেজের পাস থেকে গোল করেন ডি ব্রুইনা। ২৫ গজ দূর থেকে তার ডান পায়ের শটে বল উপরের কোণা দিয়ে জালে জড়ায়।

লাইপজিগ গোল পরিশোধ করতে না পারায় ৭-০ ব্যবধানে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গার্দিওলার শিষ্যরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply