রাঙ্গামাটিতে ৬ ছাত্রাবাসের চারটিই জরাজীর্ণ, ঝুঁকি নিয়েই থাকছে শিক্ষার্থীরা (ভিডিও)

|

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

দুর্গম অঞ্চলের শিশুদের জন্য চার দশক আগে রাঙ্গামাটিতে নির্মিত হয় ৬টি ছাত্রাবাস। আবাসিক এ ভবনগুলোর ৪টিই এখন জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান এবং বসবাস। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কায় উদ্বিগ্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গম অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে মোট ১৯টি আবাসিক বিদ্যালয় চালু রয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটির ৬ উপজেলায় রয়েছে ছয়টি। তবে ৪টিই জরাজীর্ণ। ভবনগুলো থেকে খসে পড়ছে সিলিং পলেস্তারা, দরজা-জানালার বেহাল দশা, সেমিপাকা ভবনের পিলার মাঝখানে ভাঙা। এমন অবস্থাতেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। পরিত্যক্ত প্রায় ভবনে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যেখানে বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে পড়ে, নেই ভালো টয়লেট এবং খাবার ও পড়ার টেবিল।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কুতুকছড়ি উপজাতীয় আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডেবিট চাকমা বলেন, চালু হওয়ার পর থেকে এটা এখনো পুনঃনির্মাণের আওতায় আসেনি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড থেকে দুইটা কক্ষ করে দেয়া হয়েছে আর বাকিগুলো সব জরাজীর্ণ।

জরাজীর্ণ ছাত্রাবাস দ্রুত সংস্কারে প্রকল্প গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি। উপজেলা শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে এবং এলজিইডির সহযোগিতা নিয়ে একটা সম্ভব্য প্রাক্কলন প্রস্তুত করতে। সেখানে ভবনটি পুনঃনির্মাণ করতে কী পরিমাণ বাজেট প্রয়োজন হবে তা প্রস্তুত করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তথ্যাদি জরুরি ভিত্তিতে আমাদের কাছে প্রেরণ করার জন্য।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply