মার্কিন ড্রোন উদ্ধার নিয়ে মস্কো-ওয়াশিংটনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, রাশিয়াকে প্রতিহত করার ঘোষণা

|

ড্রোন বিধ্বস্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হুমকি-হুঁশিয়ারি আর কথার লড়াই চলছে মস্কো-ওয়াশিংটনের মধ্যে। কৃষ্ণসাগর থেকে মার্কিন ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও ওয়াশিংটন বলছে, যেকোনো মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সাথে সংঘর্ষে মার্কিন ড্রোন ধ্বংসের ঘটনা মস্কোর আগ্রাসী আচরণই প্রমাণ করে।

কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনায় আবারও উত্তেজনার পারদ চড়েছে মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কে। মঙ্গলবার রুশ সুখোই যুদ্ধবিমানের বেপরোয়া তৎপরতায় এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়। এরপর থেকেই চলছে ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের প্রচেষ্টা।

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মাইলি বলেন, এই ড্রোনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ। কোনোভাবেই এটির ধ্বংসাবশেষ আমরা শত্রুর হাতে পড়তে দেবো না। এটি সাগরের ৪ থেকে ৫ হাজার ফুট গভীরে পড়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার অভিযান জটিল। আর এটাও সত্যি ওই অঞ্চলে আমাদের জাহাজ নেই। যদিও বহু মিত্র রয়েছে সেখানে। তাদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমেই উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।

বুধবার এই ইস্যুতে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সাথে ফোনালাপ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। যুক্তরাষ্ট্রের আচরণকে উস্কানিমূলক বলে অভিযোগ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার অভিযোগ, কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোনের উপস্থিতি নিশ্চিত করে, মস্কোর বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত ওয়াশিংটন। বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে বলেও জানায় মস্কো।

রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেন, কৃষ্ণসাগরে মার্কিন নজরদারী বিমানের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আমাদের লক্ষ্য ভেঙে পড়া ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করা। জানি না এতে আমরা শেষ পর্যন্ত সফল হবো কিনা। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টাই থাকবে আমাদের।

তবে যেকোনো মূল্যে নিজেদের ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ রুশ বাহিনীর হাতে যাওয়া ঠেকাতে তৎপর পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষ্ণসাগরে রুশ তল্লাশি অভিযানে বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সংঘাত ঠেকাতে আলোচনার পথ খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সাথে সংঘর্ষে মার্কিন ড্রোন ধ্বংসের ঘটনা মস্কোর আগ্রাসী আচরণই প্রমাণ করে।ইউরোপীয় মিত্রদের নিরাপত্তার তাগিদে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে সাগরে নজরদারি কার্যক্রম চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। সংঘাত ঠেকাতে আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাই আমরা।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী, কৃষ্ণসাগরের ওপর দিয়ে রাশিয়া সুখোই যুদ্ধবিমান এবং একটি মার্কিন রিপার ড্রোন উড়ছিল। এসময় ইচ্ছাকৃতভাবে রুশ যুদ্ধবিমান আঘাত করে ড্রোনে। ফলে বিধ্বস্ত হয় ড্রোনটি।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply