Site icon Jamuna Television

যৌতুকের দাবিতে মুখ বিষ ঢেলে গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, ‘ফাঁসানোর চেষ্টা’ দাবি স্বামীর

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

যৌতুকের দাবিতে মারধর এ অবশেষে নৃশংসভাবে হত্যার চেষ্টা। ঝিনাইদহে শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অমানবিক এ অত্যাচারের অভিযোগ এনেছেন সুরজানা খাতুন (২২)। এরই মধ্যে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুর রহিম। অভিযোগ আমলে নিয়ে, তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানায় মেয়ের স্বামীসহ ৪ জনের বিরুেদ্ধ এ এজাহার দায়ের করেন আব্দুর রহিম।

তিনি জানান, কোটচাঁদপুর উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে পলাশ মন্ডলের সঙ্গে ৩ বছর আগে সুরজানা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নগদ টাকা ও বিভিন্ন আসবাবপত্র দেয়ার পরও বিভিন্ন বাহানায় পলাশ মারধর করতো ভুক্তভোগী সুরজানাকে। সম্প্রতি সুরজানার শ্বশুর বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করা হয়। এ সময় সুরজানা সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগীর বাবার দাবি, যৌতুক না দেয়ায় গত ১৪ মার্চ দুপুর সাড়ে ৩টায় সুরজানার মুখ চেপে ধরে মুখে বিষ ঢেলে দেন শ্বাশুড়ি নাজমা বেগম। এ সময় জামাই পলাশ মন্ডল মেয়ের এক হাত ধরে থাকে ও শ্বশুর জসিম উদ্দীন চেপে ধরে আরেক হাত আর ভাসুর শিমুল মন্ডল মেয়ের দুই পা চেপে ধরে রাখে। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তারা সুরজানাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তাকে সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে সুরজনার স্বামী পলাশ মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজন। পলাশ মন্ডলের দাবি, ঘটনার দিন আমি ঘরে আসতেই ব্যাগে থাকা বিষের বোতল মুখে ঢেলে দেয় সুরজানা। ওই সময়ই আমরা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। ফাঁসানোর জন্যই সুরজানা মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলে দাবি তার।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, এ ধরনের একটা এজাহার হয়েছে। তবে আমরা অভিযোগ আকারে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসজেড/

Exit mobile version