ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়: গ্রামে-গঞ্জে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে নির্দেশনা

|

শরিফুল ইসলাম খান:

নিরপেক্ষ সরকারের দাবি গ্রাম-গঞ্জের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে চায় বিএনপি। ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তৃণমূলে সক্রিয় আন্দোলন গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। নানা ইস্যুতে মতামত দিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দলীয় সরকারের আধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চান না তারা।

ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শেষ করার কয়েকদিন পরই সারাদেশের বিএনপিপন্থী সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলটির শীর্ষ নেতারা। প্রান্তিক পর্যায় থেকে রাজধানীর গুলশানে এসে শীর্ষ নেতৃত্বের দেখা পেয়ে ভীষণ উজ্জ্বীবিত তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাদেরই একজন রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাইয়ের চিংমরম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ৭৪ বছরের আজিজুল হক। বললেন, আমার মন এমন হয়ে গেছে যে, এক বিন্দু রক্ত থাকলেও তা দিতে রাজি আছি দলের জন্য।

দীর্ঘ সময় নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছেন তারা। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগও জানান কেউ কেউ। নেতারা বলেন, এখন দুঃসময় তাই বিবাদ ভুলে আন্দোলন সংগ্রামে থাকতে হবে, দাবি আদায়ে সোচ্চার করতে হবে গ্রাম-গঞ্জের মানুষকে।

কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, আমাদেরকে উনারা নির্দেশ দিয়েছেন, দলের সাথে সবসময় থাকতে এবং দলের জন্য কাজ করতে। আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত সাথে থাকতে বলেছেন। আমরাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, জীবন দিয়ে হলেও এই সরকারকে হটিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকার এনে নির্বাচনে যাবো।

নাটোর সদরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার বলেন, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বো।

কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি, এ ধরনের কর্মসূচি চলমান আন্দোলনে যোগ করবে নতুন মাত্রা। নগর-মহানগরের সীমা ছাড়িয়ে ১০ দফার দাবিতে সরব হবেন সাধারণ মানুষও।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্দোলনের পটভূমি জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে যারা দায়িত্ব পালন করেন, তাদের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা অনেক বেশি। তৃণমূল পর্যায়ে তারা আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দেবেন। তারা নিজেরাও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বেশ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, সকলের বার্তা একই। কথা বলতে সুযোগ দিতে হবে, স্বাধীনতা দিতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে মিথ্যে মামলায় জর্জরিত হয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এর থেকে মুক্তি চায়। এটিই তৃণমূল প্রতিনিধিদের বার্তা।

২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ— বিএনপির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগের ২ হাজারের বেশি তৃণমূল প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন এই মতবিনিময় সভায়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply