সড়কে নিরাপত্তার ঘাটতির অভিযোগ এনেছেন পরিবহন মালিকরা। তারা বলছেন, চলাচল নিরাপদ না হলে তারা বাস রাস্তায় নামাবেন না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক ফেডারেশনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আজ শুক্রবার বিকালে বলেছেন, ‘সড়কে নিরাপত্তা ফিরে না আসা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। এখন পর্যন্ত প্রায় চারশ বাস ভাংচুর ও আটটি বাস পোড়ানো হয়েছে। তাই শিক্ষার্থী ঘরে ফিরলেই স্বাভাবিক চলাচল হবে’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকার নতুন যে আইন করতে যাচ্ছে তার প্রতি মালিক-শ্রমিক নেতারা শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত উল্লাহ আরও বলেন, ‘যে গাড়িগুলো পোড়ানো হয়েছে সেগুলো আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি বাহির থেকে পেট্রোল এনে গাড়ির গ্লাসে ঢেলে পোড়ানো হয়েছে। যার ফলে মালিক-শ্রমিকেরা সারাদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ কারণে ঢাকাসহ সারাদেশে মালিক-শ্রমিকেরা গাড়ি বন্ধ রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে এখানে অনেকে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে যা আমরা ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছি। আমাদের অনুরোধ থাকবে শিশুরা যেন ঘরে ফিরে যায়। অন্যরা যাতে এর সুযোগ না নিতে পারে।’
কুর্মিটোলা বাস দুর্ঘটনায় গাড়ির চালকের ভুল ছিলো উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় ড্রাইভারের ভুল ছিলো। ফ্লাইওভার থেকে নামার সময়ে সে গাড়ি স্লো না করে বরং গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
এ ঘটনার পর লাইসেন্সবিহীন কোন চালককে গাড়ি না দিতে এবং মালিক চালককে লাইসেন্সবিহীন গাড়ি না দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান এনায়েত উল্লাহ।
যমুনা অনলাইন: কেআর
Leave a reply