পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে লাহোর পুলিশ। এ সময়, তোশাখানা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে রাজধানী ইসলামাবাদের পথে ছিলেন তিনি। ইমরান রওনা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এ পুলিশ রেইড শুরু হয়। ইমরান সমর্থকদের জামান পার্ক থেকে সরাতে এ অভিযান, বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, অভিযানকালে পেট্রোল বোমা ও গুলি ছোড়ে পিটিআই সমর্থকরা। এরইমধ্যে জামান পার্ক এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা, মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খবর আলজাজিরার।
শনিবার (১৮ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আলজাজিরা জানিয়েছে, তোশাখানা মামলায় হাজিরা দিতে ইমরানকে সমন পাঠানো হয়েছিল গত শনিবারেই। এর মাঝে, সপ্তাহজুড়ে বেশ কয়েকদফা ইমরান খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে পাঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু, পিটিআই সমর্থকদের অব্যাহত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে পিছু হটে তারা। এদিন, মামলার হাজিরা দিতে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে ইমরান খান রওনা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার জামান পার্কের বাস ভবন ঘেরাও করা তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন ইমরান খান। তল্লাশি শুরুর পর পোস্ট করা এক টুইট বার্তায় মতিনি বলেন, বুশরা বেগম (ইমরানের স্ত্রী) বাড়িতে একা এমন সময়ই আমার বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। কোন আইনের বলে এমন করছে তারা? এটা নিশ্চয়ই লন্ডন পরিকল্পনার অংশ, যে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেরারি আসামি নওয়াজ শরিফকে দেশে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল।
ইমরান খানের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তল্লাশি শুরুর আগে পিটিআই সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পিটিআইয়ের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পিটিআই সমর্থকদের ব্যাটন দিয়ে আঘাত করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছেন পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় ক্রেন দিয়ে ইমরানের বাড়ির মূল ফটক ভাঙে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতার করে সেখানে অবস্থানরত অন্তত ৪০ পিটিআই নেতাকর্মীকে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা আলোচিত তোষাখানা মামলায় আদালতে হাজিরা না দেয়ায় ইসলামাবাদের নিম্ন আদালত থেকে সমন জারি করা হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। দায়েরকৃত মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে ২০১৮-২২ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় তোষাখানা থেকে দামি উপহার সামগ্রী সরানো ও বিক্রির অভিযোগ এনেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। যদিও এ সমস্ত অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন ইমরান। তার অভিযোগ, নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতেই তাকে গ্রেফতারের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
/এসএইচ
Leave a reply