ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ডাকাতির ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী সিকিউরিটি এজেন্সি মানি প্ল্যান্টের সাবেক ড্রাইভার সোহেল রানা। তাকে গ্রেফতার এবং তার কাছ থেকে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ একটি মাইক্রোবাস উদ্ধারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, সোহেল ডাকাতির আগেই গাড়ির নকল চাবি বানিয়েছিল। এ নিয়ে মোট উদ্ধার হলো ৮ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা।
বেসরকারি ডাচ বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় ছক সাজান দুজন। এর একজন আকাশ। যিনি টাকা লুটের পর মাইক্রোবাসে উঠতে না পারলেও সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। আকাশকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনার আট দিন পর সোহেল রানা নামে আরেকজনকে গ্রেফতারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। বলা হচ্ছে, সোহেলই ডাকাতির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। মানি প্ল্যান্টের চালক থাকাকালীন লুটকৃত গাড়ির নকল চাবি বানায় সোহেল।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, মানি প্ল্যান্টে সে চাকরি করতো। টাকা আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে অস্ত্র থাকে কিনা সে জানে। নকল চাবি সে বানিয়ে রেখেছিল। নকল চাবি দিয়ে সে সহজেই দরজাটা খুলে ফেলেছিল। বাকি ডাকাতদের উনিই নিয়ে এসেছিল। উনি জানতেন যে, প্রতিদিন এই পথ দিয়ে বিভিন্ন রুটে টাকা যায়।
ডাকাতির টাকায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে কেনা হয়েছিল একটি মাইক্রোবাস। কেউ আবার টাকা সুদে খাটিয়েছে। এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাতজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ডাকাতি হয়ে গেলে কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেই এই টাকাগুলো বিভিন্ন খাতে খরচ হয়ে যায়। এবার ১২ জনকে আমরা ধরতে পেরেছি। এ কারণে, বড় অংকের টাকা উদ্ধারে সক্ষম হয়েছি।
পুলিশ বলছে, চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছেন তারা। গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। উদ্ধার করা হয়েছে আট কোটি টাকারও বেশি।
/এম ই
Leave a reply