ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধনে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে উত্তরের কৃষিনির্ভর মানুষ। এ পাইপ লাইনে সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে ভারত থেকে ডিজেল আনার মাধ্যমে রংপুর বিভাগে প্রতি বছর আড়াই লাখ মেট্রিক টন ডিজেলের চাহিদা পূরণ করা যাবে বলে জানিয়েছে বিপিসি। প্রাপ্ত ডিজেল দিয়ে যেন প্রথমে তাদের চাহিদা মেটানো হয়, এমন দাবি কৃষকদের।
ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুরের বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ডিপোতে এসে জমা হচ্ছে আমদানি করা ডিজেল। যেখান থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় যাবে জ্বালানি। বোরো মৌসুমে এর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী উত্তরের কৃষক। ১১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হয়েছে। যার ৬০ ভাগেই ব্যবহৃত হয়েছে ডিজেল চালিত মেশিন। তাই এ প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি খুশি কৃষক ও ট্যাংক লরি সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, সবার আগে মেটোতে হবে স্থানীয় চাহিদা।
উদ্বোধনের আগেই ২২ লাখ লিটার ডিজেল জমা হয়েছে ডিপোতে। চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত ডিজেল আমদানির কথা জানিয়েছে বিপিসি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিচালক খালিদ আহম্মেদ জানান, ভারত যেহেতু প্রতিবেশী দেশ, তাই সাড়ে ৫ ডলারে আমরা জ্বালানি পাচ্ছি। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আনতে গেলে সাড়ে ১১ ডলারে কিনতে হতো ডিজেল। ফলে এখান মূল্য সাশ্রয় হচ্ছে।
এই উদ্যোগে জ্বালানী চাহিদা মেটাতে দেশ আরও একধাপ এগিয়েছে বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য। দিনাজপুরের ফুলবাড়ি-পার্বতীপুরের এমপি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ফলে তারা ডিজেল পেলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ১৩১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে ১০ ফুট ব্যাসার্ধের এই পাইপলাইন। রিসিভার বসানো হয়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে।
এসজেড/
Leave a reply