পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে, আগ্রাসন-সহিংসতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। রোববার (১৯ মার্চ) মিসরে হওয়া বহুমুখী বৈঠকে আসে এ সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে, শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে, এমনটাই দাবি মধ্যস্থতাকারীদের। খবর সিএনএন এর।
এদিকে, সংলাপে গৃহীত বিধিমালা মানতে নারাজ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, শান্তির নামে মূলা ঝোলাচ্ছে পশ্চিমারা। বৈঠক রেখে ইসরায়েলি মতাদর্শই চাপাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ওপর।
এ নিয়ে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, শার্ম-আল-শেখে হওয়া সংলাপ ঘৃণাভরে বর্জন করা হলো। দখলদারদের সাথে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এই বৈঠক নিন্দনীয়। এর মাধ্যমে, ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন জোরদারের প্রচ্ছন্ন বৈধতা দেয়া হলো ইহুদিদের। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি মতাদর্শই প্রাধান্য পেয়েছে সেখানে। বর্ণবাদী-ফ্যাসিবাদী ও জায়নবাদী সরকারের হাত থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় প্রয়োজন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
এ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, গত মাসে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের অভিযান চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাকি সন্দেহভাজনরা কারাগারে আটক। আবারও বলছি, যারাই ইহুদিদের ওপর হামলা চালাবে, তারা বিন্দুমাত্র ছাড় পাবে না। প্রয়োজনে রক্তে রঞ্জিত হবে ভূখণ্ড। চরমপন্থিদের গোপন আস্তানা খুঁজে বের করবে সরকার।
চলতি বছরই, ইসরায়েলি সেনাবহরের আগ্রাসন এবং দখলদারদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯০ ফিলিস্তিনি। গত বছর, এই সংখ্যাটি ছিল দুই শতাধিক।
এসজেড/
Leave a reply