কঙ্গোতে সন্ত্রাসীদের হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ইতুরি এবং নর্থ কিভু প্রদেশজুড়ে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের একের পর এক হামলায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে এবং শনিবারের ওই প্রাণহানি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতারই সর্বশেষ ঘটনা।
রয়টার্স বলছে, শনিবার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশের বেশ কয়েকটি গ্রামে একযোগে চালানো হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এবং সুশীল সমাজের নেতারা কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গো বা কোডেকো নামে পরিচিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন।
পার্শ্ববর্তী লুবেরো অঞ্চলের প্রশাসক কর্নেল অ্যালাইন কিওয়েওয়া জানান, নর্থ কিভু প্রদেশের মাউন্ট কিয়াভিরিমুর এনগুলি গ্রামে জঙ্গিরা আরও ১০ জনকে হত্যা করেছে। এ সময় তারা আরও তিনজনকে অপহরণ করে। এ হামলার জন্য অ্যালায়িড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসকে (এডিএফ) দায়ী করেছেন কর্নেল এলেইন কিওয়েওয়া। তিনি বলেন, এটি সত্যিই দুঃখজনক পরিস্থিতি। তারা ছুরি ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের হত্যা করেছে।
প্রসঙ্গত, কঙ্গোর সরকার ২০২১ সালে নর্থ কিভু এবং ইতুরিতে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এরপরও হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহী তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি।
ইউএইচ/
Leave a reply