ফেনী প্রতিনিধি:
নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশের মতো ফেনী শহরেও শত শত শিক্ষার্থী শনিবার সকাল থেকে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে হামলা-মারধরের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ‘শিবির ধর ধর’ বলে তারা এ হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের তীর ছাত্রলীগের দিকে হলেও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
ছাত্রলীগের হামলায় সোনাগাজী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জোবেদা নাহার মিলির ছেলে মাহি বিন নাসির, ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এয়াকুব ইসলাম, ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্র সাকিব হাসান, নাহিদ, রিফাত, নুর নেওয়াজ, তাওহীদসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শনিবার সকাল ১০টার দিকে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। এসময় তাদের সাথে থাকা স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফ্যাস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়। এর আগে সকাল থেকে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ফেনী সরকারি কলেজ গেইট, শহীদ মার্কেট, ইসলামপুর রোডের মাথায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা জানায়, ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিলে ‘শিবির ধর ধর’ বলে মারধর করতে থাকে। মারধরের কারণে কিছু ছাত্র এদিক সেদিক ছুটলেও বিক্ষোভ মিছিল চলতে থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছু হটে কলেজ রোডে এসে ফের সংগঠিত হয়ে মিজান রোড হয়ে ট্রাংক রোডে অবস্থান নেয়। সেখানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সড়কে যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স চেক করে। মোটর সাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারের অনুরোধ জানায়।
ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জজ জানান, সাধারণ ছাত্রের ব্যানারে কোনো দুর্বৃত্তরা যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছিল। ছাত্রদের কাউকে মারধর করেনি ছাত্রলীগ।
ফেনী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানান, মানুষের নিরাপত্তা দিতে শহরে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ ছিল। বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্ররা। ওখান থেকে কাউকে আটক করা হয়নি।
যমুনা অনলাইন: কেআর/এটি
Leave a reply