নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিস্ফোরণে দগ্ধ অবস্থায় সন্তান জন্ম দেয়া কুলসুম বেগম শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। তার সন্তান এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৬টায় দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলসুম মারা যান।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মাসদাইর এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ হন কুলসুম আক্তার (২৬)। ১২ মার্চ সন্ধ্যার এই ঘটনার পর তাকে নেয়া হয় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধ ওই নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জন্ম দিয়েছেন এক ছেলে সন্তানের। সিজারিয়ান ডেলিভারি হওয়া শিশুকে রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।
কুলসুম আক্তারের স্বামী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, আমরা নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা মাসদাইর এলাকায় একটি ১০ তলা বাসার ৬ তলায় থাকতাম। ১২ মার্চ সন্ধ্যায় বাসায় বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার সময় আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আমার স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল ছয়টার দিকে কুলসুম আক্তার মারা যান। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। কুলসুম আক্তার অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়ার পরে মারা গেলেন তিনি। নবজাতকের ওজন কম হওয়ায় তাকে এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply