সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:
নাটোরের সড়ক-মহাসড়কগুলো পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। বেড়েছে মাটিবাহী ট্রাক্টরের চলাচল। চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে শিক্ষার্থীসহ অন্তত চারজন। সড়কে মাটি পড়ে বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
জেলাজুড়ে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন হচ্ছে দেদারছে। ট্রাক্টরে বহন করে সেই মাটি নেয়া হচ্ছে। পড়ছে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে। এতে, সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে সড়ক।
ট্রাক্টরের এই অনিয়ন্ত্রিত চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চলতি মাসেই কয়েকটি স্থানে প্রাণ হারিয়েছে শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন। আহত হয়েছেন অনেকে।
মাটিবাহী ট্রাক্টর এবং তার কারণে সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হলেও হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, মহাসড়কে মাটিবাহী ট্রাক্টর যেন সড়ক নষ্ট না করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের জোর তৎপরতা রয়েছে। আগামীতে এই মহাসড়কে কোনো মাটিবাহী ট্রাক্টর উঠতে দেয়া হবে না।
নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
নাটোরের গুরুদাসপুরের ইউএনও শ্রাবনী রায় বলেন, উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছে। অভিযান চলমান আছে। জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।
নাটোরের বড়াইগ্রামের ইউএনও মারিয়াম খাতুন বলেন, হাইওয়ে পুলিশকে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা যদি উদ্যোগ গ্রহণ করে এই বিষয়ে তাহলেও অনেক উপকার হবে।
অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে নাটোরে ফসলী জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
/এনএএস
Leave a reply