তরুণ সমাজকে বিপথে নেয়ার প্রশ্নে মার্কিন কংগ্রেসে তোপের মুখে পড়েছেন টিকটকের প্রধান নির্বাহী। আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, টিকটকের মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিকভাবে উন্মাদ বানিয়ে দেয়া হচ্ছে অনেককে। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) কংগ্রেসের শুনানিতে হাজির হন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটির সিইও শাও জি চিউ। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে সরবরাহ করছে টিকটক।
ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি এবং তা চীনের কাছে পাচার করছে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক, এমন অভিযোগ অনেক দিন ধরেই করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে ডাকা হয় টিকটকের প্রধান নির্বাহী শাও জি চিউকে। হাউস এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটির ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে এই শুনানি। আইনপ্রণেতাদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ তোলা হয়, টিকটকের কারণে বিপথে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।
এ নিয়ে কংগ্রেসের বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির প্রধান ক্যাথি ম্যাকমোরিস বলেন, প্রতিটি ব্যবহারকারীর তথ্য, তার অবস্থান, সেই ব্যবহারকারীর পছন্দ-অপছন্দ সবকিছুই নজরদারি করছে টিকটক। এরপর সেসব তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে চীনের ক্ষমতাসীন দলের কাছে।
কংগ্রেস সদস্য বব লেট্টাও একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, টিকটকের আরেকটি লক্ষ্য হলো আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া। তাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে উন্মাদ বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। টিকটকের চ্যালেঞ্জের কারণ প্রাণ হারিয়েছে অনেক কিশোর-কিশোরী। এটা ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
শুনানিতে সব অভিযোগই অস্বীকার করেন টিকটকের প্রধান নির্বাহী। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অভিযোগকে কাল্পনিক আখ্যা দিয়ে টিকটক নিষিদ্ধের প্রতিবাদও জানান শাও জি চিউ। তবে জেরার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তার নিজের সন্তানরা টিকটক ব্যবহার করেন না।
শাও জি চিউ বলেন, তথ্য পাচার করা দূরের বিষয়, উল্টো আমরা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। এ লক্ষ্যে দেড়শ’ কোটি ডলার ব্যয়ে প্রজেক্ট টেক্সাস নামে একটি প্রকল্পও নেয়া হয়েছে। আমরাও মনে করি টিকটক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বয়সের একটা বিধি-নিষেধ থাকা উচিত। টিকটক কখনওই মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারকে সরবরাহ করেনি। এমনকি আমাদের কাছে এমন কোনো অনুরোধও আসেনি।
কংগ্রেসে শুনানি চলার সময় টিকটক নিষিদ্ধের দাবিতে ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন মার্কিন অভিভাবকরা।
এসজেড/
Leave a reply