উত্তর কোরিয়ার নতুন ড্রোন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রসহ শত্রুদের বড় বিপদের কারণ, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, এই ড্রোন ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যেসব বন্দরে মার্কিন সেনা রয়েছে সবগুলোতে হামলা চালাতে পারবে পিয়ংইয়ং। বিশ্লেষকদের মত, বৈচিত্র্যময় পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার দেখিয়ে শত্রুদের হুমকি দিচ্ছে দেশটি। খবর বিবিসির।
নতুন প্রযুক্তির ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়ে শত্রুদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম এই অস্ত্র পানির নিচ দিয়ে অনায়াসে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন এই ড্রোনের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব বন্দরে মার্কিন সেনা রয়েছে প্রত্যেকটিতে হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে কিম জং উনের দেশ। এমনকি জাহাজের মাধ্যমে বহন করা যায় বলে জাপানের বন্দরে থাকা মার্কিন সেনাদেরও খুব সহজেই লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারবে ড্রোনগুলো।
ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক কিম ডং ইউব বলেন, উত্তর কোরিয়ার যেকোনো বন্দর থেকেই এই ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব বন্দরে মার্কিন সেনাবাহিনী রয়েছে সবগুলোতে আঘাত হানতে পারবে। এছাড়া, ড্রোনটি জাহাজে বহন করা যায়। কাজেই এটি সাধারণ জাহাজে লুকিয়ে জাপানের বন্দর ইউকোসুকাতেও নিক্ষেপ করা যাবে। সেখানে অবস্থান করছে মার্কিন সেনারা।
বিশ্লেষকদের দাবি, প্রায় এক যুগ ধরে এই ড্রোন নিয়ে গবেষণা করছে পিয়ংইয়ং। অতি গোপনে অর্ধশতবার পরীক্ষাও চালানো হয়েছে।
কিম ডং ইউব বলেন, এই ড্রোন শনাক্ত করা দুঃসাধ্য হবে। এছাড়া এতে খুব বেশি আওয়াজও হবে না। ১১ বছর ধরে উত্তর কোরিয়া এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করেছে। গত দুই বছরে অতি গোপনে অন্তত ৫০ বার পরীক্ষাও চালিয়েছে। আমি বলবো এই অস্ত্রটি বেশ শক্তিশালী।
এছাড়া দু’দিন আগেও পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম এমন ক্রুজ মিসাইলের মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, একের পর মহড়া চালিয়ে নিজেদের বৈচিত্র্যময় পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা দেখাচ্ছে দেশটি।
এসজেড/
Leave a reply