পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় সদর উপজেলার রুবিনা আক্তার পিংকি (১৮) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত স্বামীর দাবি, তার স্ত্রী নিজে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
জানা গেছে, মৃত পিংকি জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি প্রধানপাড়া এলাকার আমিনুর রহমানের স্ত্রী এবং কামাত কাজল দিঘী ইউনিয়নের সরকার পাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ ‘বিষপান করেছে’ দাবি করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামী আমিনুর। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পিংকিকে মৃত ঘোষণা করেন তাকে।
খবর পেয়ে গত শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করে থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর বিকেলে লাশ হস্তান্তর করলে রাতে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি প্রধানপাড়া এলাকার তবিবর রহমানের ছেলে আমিনুর রহমানের সঙ্গে গত ৪ মাস আগে বিয়ে হয় রুবিনা আক্তার পিংকির। বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের একমাস পার না হতেই আবারও যৌতুক দাবি করে বসে আমিনুর। এ জন্য প্রায় সময় মারধর করা হতো। এ নিয়ে গত তিনমাসে কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে।
নিহত পিংকির বাবা রবিউল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়ে জামাই আমিনুর ফোনে জানান আমার মেয়ে বিষ খেয়েছে, তাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে শুনি মেয়ে বেঁচে নেই। আমি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন আমার মেয়ে বিষ খায়নি।
তিনি বলেন, আমার মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এখন বাঁচার জন্য বিষপানের অপবাদ দিচ্ছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
রুবিনা আক্তার পিংকির স্বামী আমিনুর রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে কয়েকটি চর থাপ্পড় দিয়েছিলাম। এ জন্য অভিমানে বিষ পান করেছে পিংকি। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলেও জানান তিনি।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল উদ্দীন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply