‘আর্জেন্টিনার সমস্ত মানুষকে উৎসবে মাততে দেখে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি’

|

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মেসির হাত ধরেই বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ জেতার পর দেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি খোদ মেসি নিজেও। দেশের মানুষের অভ্যর্থনায় আপ্লুত এই ফুটবল মহাতারকা। আর্জেন্টাইনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মেসি জানান, আর্জেন্টিনার সমস্ত মানুষকে উৎসবে মাততে দেখে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি।

ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার (২৪ মার্চ) ৩ স্টার জার্সিতে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। পানামার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে এদিন বুয়েনস আইরেসের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ৮৩ হাজার আলবিসেলেস্তে সমর্থকরা স্বাগত জানিয়েছিল মেসি ও তার সতীর্থদের। ফুটবল প্রেমীদের মেসি, মেসি চিৎকারের সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনিও। বিশ্বজয়ীদের বরণ করে নিতে আয়োজনের ত্রুটি রাখেননি আর্জেন্টিনা ফুটবল কর্মকর্তারা। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে আরও একবার বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ উদযাপন করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামের আবহে আবেগ সংযত রাখতে পারেননি বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। কেঁদে ফেলেছিলেন মেসি। সেখানেই শেষ নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের নিয়ে আবেগঘন বার্তা লিখেছেন এলএমটেন।

পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন

নিজের ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টে মেসি লেখেন, অনেক বার কল্পনা করেছি, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরলে কেমন হতে পারে। কিন্তু এখনকার অনুভূতি বোঝানোর মতো ভাষা আমার জানা নেই। এত ভালবাসার জন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। এই দিনগুলি আমার কাছে বিশেষ। শুধু এটুকু বলতে পারি, আর্জেন্টিনার সমস্ত মানুষকে উৎসবে মাততে দেখে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি। দারুণ উপভোগ করেছি। আপনাদের উদযাপন আমাকে অপরিসীম আনন্দ দিয়েছে। এ ভাবে উদযাপন করা আর একটা সাফল্য। সকলকে অনেক ধন্যবাদ।

ছবি: সংগৃহীত

এই ম্যাচেই বাঁ-পায়ে বাঁকানো ফ্রি-কিক থেকে গোল করে  ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৮০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন ৩৫ বছর বয়সী লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি ছিল তার ৯৯তম গোল। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় ঘরের মাঠে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসদের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ রাষ্ট্র কুরাকাও-এর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে গোল পেলে জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরিটা পূর্ণ হয়ে যাবে এই ফুটবল জাদুকরের।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply