সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা:
সন্তান লাভের আশায় তান্ত্রিকের পরামর্শে নরবলি! চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। রোববার (২৬ মার্চ) কলকাতার তিলজলার প্রতিবেশীর বাসা থেকে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে লোমহর্ষক এ ঘটনার বিবরণ। মর্মান্তিক এ ঘটনার জেরে শহরজুড়ে ছড়িয়েছে বিক্ষোভ।
সাত বছরের শিশুকে হত্যার ঘটনায় উত্তাল কলকাতার তিলজলা এলাকা। সড়ক, রেল, থানা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পুলিশি বাধায় দফায় দফায় সংঘাতে জড়ায় ক্ষুব্ধ জনতা।
ঘটনার সূত্রপাত রোববার। বাসার বাইরে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় সাত বছরের এক কন্যা শিশু। পুলিশের তৎপরতায় প্রতিবেশীর বাসা থেকেই উদ্ধার হয় মেয়েটির বস্তাবন্দী মরদেহ। গলাকেটে শিশুটিকে হত্যা করে অলোক কুমার নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, নিহতের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। মিলেছে ধর্ষণের আলামতও।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে লোমহর্ষক তথ্য দেন অভিযুক্ত অলোক। জানান- বার বার গর্ভপাত হচ্ছিল স্ত্রীর। তা রুখতেই যান তান্ত্রিকের কাছে। তান্ত্রিকের পরামর্শ মতোই শিশুটিকে বলি দেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের হবে হত্যা মামলা।
এএআর/
Leave a reply