ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো বিদেশি ট্যাংক সহায়তা পেলো কিয়েভ। সোমবার জার্মান লেপার্ড-টু ট্যাংকের একটি বহর পৌঁছায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর কাছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যানও সরবরাহ করা হয়েছে তাদেরকে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসব সমরাস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে বড় ব্যবধান গড়ে দেবে বলে প্রত্যাশা জেলেনস্কি প্রশাসনের। খবর বিবিসির।
বেলারুশে রাশিয়ার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই হঠাৎই নাটকীয়তা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে। বহুল আলোচিত জার্মান লেপার্ড-টু ট্যাংকের একটি বহর পৌঁছায় ইউক্রেনে। সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে ১৮টি ট্যাংক গ্রহণ করে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎজ এ প্রসঙ্গে বলেন, কিয়েভকে যে কথা দিয়েছিলাম তা আমরা রেখেছি। প্রতিশ্রুত লেপার্ড ট্যাংকের একটি অংশ পাঠানো হয়েছে কিয়েভের কাছে। আশা করছি ইউক্রেনীয় সেনারা এসব সমরাস্ত্রের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। শীঘ্রই বাকি অস্ত্রও পাঠানো হবে সেখানে।
কিয়েভ বলছে, জার্মানি থেকে পাঠানো ট্যাংকের পাশাপাশি হাতে এসেছে ব্রিটিশ চ্যালেঞ্জার ট্যাংক, মার্কিন সাজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সমরাস্ত্র। হঠাৎ একবারে এতো বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের কারণে উচ্ছ্বাস ইউক্রেনীয় বাহিনীতে। কিয়েভ বলছে, বড় পরিবর্তন আসবে প্রতিরোধ যুদ্ধে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেন, এক বছর আগেও কেউ কল্পনা করেনি যে আমাদের মিত্রদের সমর্থন এত শক্তিশালী হবে। কেউ ভাবতে পারেনি যে সভ্য দুনিয়া একজোট হয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করবে। ইউক্রেন পুরো বিশ্বের নীতিকেই পাল্টে দিয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনীর দক্ষতা সবাইকে নিশ্চিত করেছে যে এ লড়াইয়ে ইউক্রেনই জিতবে।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনে নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ বলছে, পাল্টা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অন্তত ১৪টি শহিদ ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply