মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
সড়কপথের পর এবার স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে শেষ হলো রেললাইনের নির্মাণ কাজ। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেতুর মাঝামাঝি অংশের ৫নং মুভমেন্ট জয়েন্টের কাছে অবশিষ্ট ৭ মিটার অংশের ঢালাই কাজ শেষ করেন প্রকৌশলীরা। কাজ শেষ হওয়ায় রঙিন ব্যানার নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন সেখানে কর্মরত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ জানান, সেতুতে যানবাহন চালু রেখে নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইনের নির্মাণই ছিল পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ। ৭ মিটারের কংক্রিটিং শক্ত হতে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে। এরপরই এটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। আগামী ৪ এপ্রিল পুরো সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সেতুর সর্বশেষ স্লিপার বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দুইপাশে ভায়াডাক্টসহ মোট ৬ দশমিক ৬৮কি.মি. রেললাইনের কাজ শেষ হলো।
পদ্মা সেতুরেল রেলসংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, উদ্ধোধনের পর কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়। সব নকশা চুড়ান্ত করে গতবছরের নভেম্বরে মূল সেতুতে রেললাইনের কাজ শুরু হয়। ৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হলো। ঢাকা থেকে মাওয়ার এ অংশের অগ্রগতি ৭৪ ভাগ, মাওয়া থেকে ভাঙা অংশের অগ্রগতি ৯২ ভাগ ও ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত অগ্রগতি ৬৮ ভাগ। সার্বিক অগ্রগতি ৭৫ ভাগ। আমরা আশাবাদী প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ যদি না হয় তবে ২০২৪ সালের জুন মাসে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
প্রকৌশলীরা জানান, ৬ দশমিক ১৫ কি.মি. মূল সেতু, ও দুইপাশের ভায়াডাক্ট সেতু মিলিয়ে পদ্মা রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৬৮ কি.মি.। মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের ৮টি স্লিপার ছাড়া বাকি সবগুলো স্লিপার কংক্রিটের তৈরি।
প্রকৌশলীরা আরও জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) এর তত্ত্বাবধানে চলছে পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ।পদ্মা সেতু ছাড়াও প্রকল্পের মোট ১৭২ কি.মি. লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস ও ১৩টি রেলসেতুর কাজও শেষ হয়েছে। সেতুর দুই পাশের স্টেশনের নির্মাণ কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলেও জানান তারা।
/এসএইচ
Leave a reply