রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের অভিযোগে হাজার বছরের পুরনো একটি অর্থোডক্স চার্চকে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন সরকার। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে অর্থোডক্স খিস্টানদের মাঝে। সরকারের বেঁধে দেয়া সময় পেরিয়ে গেলেও ঐতিহাসিক ভবনটি ছেড়ে দেয়নি চার্চ কর্তৃপক্ষ। বরং আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত গির্জার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স ও এপির।
পরিস্থিতি পরিবর্দশনে গেলে সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ঘটে হাতাহাতির ঘটনাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির এক সরকারি মুখপাত্র বলেন, গির্জার প্রতিনিধিরা মূল দরজা বন্ধ করে রেখেছেন। পরবর্তী নির্দেশনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। চাইছি, অপ্রীতিকর কিছু না ঘটুক।
ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স চার্চের মুখপাত্র মেট্রো পেট্রো বলেন, সরকার অবৈধভাবে আমাদের উচ্ছেদ করতে চাইছে। তবে আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত আমরা গির্জায় সরকারি প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেবো না।
কিয়েভে অবস্থিত ঐতিহাসিক চার্চটি মূলত রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের শাখা। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই রাশিয়ার সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে জেলেনস্কি সাথে দেখা করতে চাইলেও সেই সুযোগ মেলেনি।
কয়েকজন অর্থোডক্স খিস্টানের দাবি, পবিত্র স্থান সকলের জন্য। সরকারের বেআইনি এই সিদ্ধান্তকে জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। চার্চের সাথে জড়িতদের বেআইনিভাবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অনেক বছর তারা সেখানে কাজ করছেন। চার্চের সম্পত্তিতে তাদেরও অধিকার আছে। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন, সরকার যেনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত রাশিয়াকে সহযোগিতার অভিযোগে ইউক্রেনে ৫০ জনেরও বেশি পাদ্রিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
/এমএন
Leave a reply