সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে খুঁটিতে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন করায় কাজল মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূ উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতারকোণা গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী (২৬) বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ছাতারকোণা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই জহর লাল স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুছের সঙ্গে গৃহবধূর পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিল। গত রোববার ওই গৃহবধূ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর সঙ্গে বিবাদী পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবাদী পক্ষের আব্দুল মোতালেব (৬০), আইন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্যরা ওই গৃহবধূর বসতঘর থেকে তাকে ধরে নিয়ে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে।
এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ পানি চাইলে তাকে পানি পান করতে না দিয়ে আরও বেশি নির্যাতন করা হয়। স্থানীয়রা ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে কাজলকে আটক করে পুলিশ।
নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়া বলেন,’আমার স্ত্রী গত রোববার আমলগ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তারা ক্ষুব্ধ ছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’
অবশ্য অভিযুক্ত আব্দুল মোতালেব বলেন, আমরা কোনো নির্যাতন করিনি।
ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান,’দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। বিরোধ নিষ্পত্তি করার চেষ্টাও করা হয়েছে। তবে গৃহবধূকে মারধর করা ঠিক হয়নি।’
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
যমুনা অনলাইন: কেআর
Leave a reply